মেসি-সুয়ারেজে বার্সার দাপুটে জয়, নাটকীয় জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ

206

মাদ্রিদ, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : লা লিগায় ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোলের রেকর্ড গড়েছেন লিয়নেল মেসি। আর তার এই গোলের সাথে লুইস সুয়ারেজের দুই গোল মিলিয়ে এইবারের বিপক্ষে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। একইসাথে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখে পয়েন্টের ব্যবধান পাঁচে নিয়ে গেছে।
১৯ ও ৫৯ মিনিটে সুয়ারেজের দুই গোলের মাঝে ৫৩ মিনিটে মেসি দলের ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি ক্যাম্প ন্যুতে আরেকটি ঐতিহাসিক রেকর্ডের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে বলেছেন, ‘এটা সত্যিকার অর্থেই বিকট। বলতে সহজ হলেও দীর্ঘ সময় ধরে একের পর এক গোল করে যাওয়া সত্যিই অসাধারণ। তার এই গোল সংখ্যা অতি অসাধারণ। আসলেও সে অন্য জগতের মানুষ।’
এই জয়ের ফলে ভালভার্দের দল এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের থেকে এগিয়ে শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রাখলো। দিনের শুরুতে লেভান্তেকে ১-০ গোলে পরাজিত করে কোনরকমে রক্ষা পেয়েছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। যদিও ভালভার্দে বলেছেন, এখনো অনেক সময় বাকি আছে। জয়ের ধারা ধরে রাখাটা আনন্দের, কিন্তু এখনও কিছুই শেষ হয়ে যায়নি।
রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ গোলে রিয়াল বেটিসকে পরাজিত করে লা লিগায় বছরের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে। যদিও এই জয়ের পরেও রিয়াল চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলো।
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর থেকে লা লিগায় ৮৯ গোল বেশী করে মেসি এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে জুভেন্টাসে খেলা পর্তুগীজ তারকা অবশ্য আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের থেকে অনেক কম ম্যাচে তিন শতাধিক গোল আদায় করেছেন। রোনাল্ডো ২৯২ লিগ ম্যাচে করেছেন ৩১১ গোল, অন্যদিকে মেসি চার শতাধিক গোল করেছেন ৪৩৫ ম্যাচে।
কালকের ম্যাচে মেসির পারফরমেন্স ছিল সাম্প্রতীক সময়ে অন্যতম সেরা পারফরমেন্স। সুয়ারেজের সহায়তায় তিনি গোলও করেছেন। তবে প্রথম গোলেও মেসির প্রচ্ছন্ন সহায়তা ছিল। মেসির প্রশংসাটা হয়তবা ম্যাচ শেষে সুয়ারেজ কিংবা ফিলিপ কুটিনহোও কেড়ে নিতে পারতেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা কুটিনহোর দারুন একটি পাসে সুয়ারেজ দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। এই গোলের পর কুটিনহো কিছুটা হলেও তার সমালোচকদের জবাব দিতে পেরেছেন। ভালভার্দের মূল একাদশে কুটিনহো বারবার সুযোগ পেলেও তাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। বুধবার কোপা ডেল রে’তে লেভান্তের বিপক্ষে ২-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে কুটিনহো পেনাল্টি থেকে সান্তনাসূচক গোলটি করেছিলেন। কালকের ম্যাচেও অবশ্য ম্যাচ সেরা তিনিই হয়েছেন। সুয়ারেজের প্রথম গোলটিতে তার তিনটি পাস ছিল। আর্থার মেলো ও সার্জিও বাসকোয়েটের সাথে বল আদান প্রদান করে তিনি সুয়ারেজকে বল যোগান দেন। উরুগুয়ের তারকা এই বল থেকে দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি। ৫৩ মিনিটে কুটিনহো ও সুয়ারেজের সহযোগিতায় মেসি ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ছয় মিনিট পর বার্সেলোনার তৃতীয় গোলটি অনেকটাই সহজে আদায় হয়। সার্জি রবার্তোর দ্রুতগতির একটি থ্রোতে সুয়ারেজ নিজের দ্বিতীয় গোল করলে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
লেভান্তের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে এন্টোনিও গ্রিজম্যানের পেনাল্টিতে এ্যাথলেটিকো ১-০ গোলের জয় তুলে নেয়। এ্যাথলেটিকোর হয়ে শেষ ৬টি গোলের সবকটিই করেছেন ফ্রেঞ্চ তারকা গ্রিজম্যান।
পুরো মৌসুম জুড়ে চাপে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ বেটিসের বিপক্ষে জয় তুলে নিতেও বেশ কঠিন সময় পার করেছে। নতুন বছাে লা লিগায় এটি রিয়ালের প্রথম জয়। ১৩ মিনিটে লুকা মড্রিচের গোলে রিয়াল এগিয়ে যায়। কিন্তু ৬৭ মিনিটে সার্জিও ক্যানালেস স্বাগতিকদো পক্ষে সমতা ফেরান। ৮৮ মিনিটে ডানি সেবালোনের গোলে নাটকীয় জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ।