হুবহু জাস্টিন ট্রুডোর মতো দেখতে আফগান গায়ক এখন সেলিব্রেটি

287

কাবুল, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : আফগানিস্তানের একটি ট্যালেন্ট শো’র প্রতিযোগীর চেহারার সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মিল রয়েছে। তার এই চেহারাই তাকে সেলিব্রেটি বানিয়ে দিয়েছে। এই কারণে তিনি প্রতিযোগিতায় জিতে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আব্দুল সালাম মাফতুন নামের এই গায়ক মূলত বিয়ে বাড়িতে গান পরিবেশন করেন। তার বাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাকশান প্রদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামে।
খবর এএফপি’র।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান আফগান স্টারের একজন বিচারক মাফতুনকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার চেহারার সাদৃশ্যের কথা না বলা পর্যন্ত তিনি বিষয়টি জানতেনই না।
লম্বাটে মুখম-ল এবং গাঢ় বাদামী চুল ও চোখের ২৯ বছর বয়সী মাফতুন আশা করছেন ট্রুডোর সাথে তার চেহারার এই সাদৃশ্যের জন্য তিনি আমেরিকান আইডলের আফগানিস্তান ভার্সনে অধিক ভোট পাবেন।
মাফতুন বলেন, ‘মানুষ আমার আসল নাম ভুলেই গেছে। সবাই আমাকে এখন জাস্টিন ট্রুডো বলে ডাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডোর ছবি দেখার আগ পর্যন্ত তার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’
আফগান গায়ক বলেন, ‘তার সঙ্গে চেহারায় সাদৃশ্যের কারণে এই প্রতিযোগিতায় আমার জেতার সম্ভাবনা আরো অর্ধেক বেড়ে গেল।’
মাফতুনের একটি হ্যাটপরা ছবি ও ট্র্রুডোর একটি ওয়েস্টার্ন স্টাইলের পোশাক পরা ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে আপলোড করা হলে প্রচুর লোক সেখানে কমেন্ট করে। মাফতুনের হ্যাটটি আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পুরুষরা খুব পছন্দ করেছে।
আফগান স্টারে একটি ভিডিওতে তাদের এই সাদৃশ্যের ছবিটি কয়েকহাজার বার দেখা হয়েছে বলে বিচারকরা আলোচনা করেন।
ফেসবুকের ওই ছবির নিয়ে নেইলা আব্দুলজাদাহ নামে একজন কমেন্ট করেন, ‘ট্রুডোর হারিয়ে যাওয়া জমজ ভাই।’
ফউজিয়া জেরেহ লিখেন, ‘আমি মনে করি বলিউড সিনেমার মতো তারা জন্মের পরপরই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এবং অবশেষে হারানো জমজ ভাইকে ফিরে পান।’
আরেকজন লিখেন, ‘মাফতুন ট্রুডোর কপি। আমি চাই আমাদের ট্রুডো এ বছরের আফগান স্টার চ্যাম্পিয়ন হোক।’
যদিও মাফতুনের কানাডায় যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও তিনি কোন না কোন সময় কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আশা রাখেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি চাইলে আমি তার সঙ্গে দেখা করতে চাই। কারণ তিনি আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং আমি আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার এক দরিদ্র মানুষ।’