বাজিস-৬ : নড়াইলে ৪২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

141

বাজিস-৬
নড়াইল-ইরি বোরো
নড়াইলে ৪২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
নড়াইল, ১৩ জানুয়ারি,২০১৯ (বাসস) : চলতি মৌসুমে নড়াইলের ৩ উপজেলায় ৪২ হাজার ৬শ’৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এসব জমিতে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানালেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের ৩ উপজেলা-সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলছে। শনিবার পর্যন্ত ৩৬ শতাংশ জমিতে রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। বোরো ধান রোপণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এ বছর ২ হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। রোপণের কাজ শেষ পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া থাকলে বোরো ধান চাষের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তারা আশা পোষণ করছেন।অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উন্নতমানের বীজ,পর্যাপ্ত সার ও কীটনাশক চাষিদের মাঝে সময়মতো সরবরাহ করায় বোরো চাষিরা আগ্রহ সহকারে ধান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৮২হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।উপজেলাওয়ারী ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে- নড়াইল সদর উপজেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৯ হাজার ২শ’৯৯ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৮১ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন চাল। লোহাগড়া উপজেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ হাজার ৩শ’৪০ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৮ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন চাল এবং কালিয়া উপজেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৯ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৮২ হাজার ৬৭৭ মেট্রিক টন চাল।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি এবং কৃষকদের আগ্রহে প্রতি বছর এ অঞ্চলে রোপা ও বোনা আমন ধান কাটার পর ইরি-বোরোর আবাদ বাড়ছে।
বাসস’র এ প্রতিনিধি নড়াইল সদর উপজেলা,কালিয়া ও লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন, চালের উৎপাদন বাড়াতে চলতি মৌসুমে কৃষকরা আগ্রহের সাথে ইরি-বোরো ধান চাষ শুরু করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, সঠিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের (উফশী) চারা রোপণ, সার প্রয়োগ ও সেচদানে কৃষকদেরকে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেক উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিজ নিজ এলাকার বোরো চাষিদেরকে নিয়মিত মনিটরিং করছেন। নড়াইল সদর উপজেলার জুড়–লিয়া গ্রামের হায়দার ভুঁইয়া জানান,ইরি-বোরো ধান হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের প্রধান ফসল তাই প্রতি বছর তারা আগ্রহ সহকারে এ ধান চাষ করে থাকেন। কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের চাষি দাউদ শেখ জানান, তিনি এ বছর ২ একর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করেছেন এবং কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ফলনও ভালো হবে বলে তিনি জানান।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১২১৫/নূসী