মেহেরপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

300

মেহেরপুর ৩০ মে, ২০১৮ (বাসস) রমজানের প্রথম দশক শেষ হবার সাথে সাথে মেহেরপুরে ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। দোকানগুলোতে ক্রেতা-সাধারণের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। বেচা-বিক্রিতে ব্যবসায়ীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বরাবরের মত এ বছরও মেহেরপুরের মার্কেটে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। নানা রকম ডিজাইন আর হিন্দি সিনেমার নাম অনুসারে বেশ জনপ্রিয় ভারতীয় পোশাকগুলো।
এ বছর মেয়েদের জন্য দোকানিরা এনেছেন বাজিরাও মাস্তানি, বাগি ড্রেস, সামপুরা, লং কোটি, মাসাককালী, ওয়াইফাই, ক্যাকটাস, থ্রি ডি, বিভা, বিশাল, লকনা, আশিকী, পাখি, ফ্লোরটাচ, জয়পুরী, মাস্তানীয়া, সুইচ লন, কান্দী ভাঙ্গা, কাশিশ, ভিনয়। কিরণমালা, মধুমালা, মায়াপরী, পাকিস্তানি লনসহ বিভিন্ন নামের থ্রিপিস ও ফোর পিস পোশাকও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস দেড় হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের কালার ফুল শার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট, জিন্স ও গ্যাবাডিং প্যান্টের পাশাপাশি বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
লা-ভোগ বিপনীর আনোয়ারুল হক কালু বলেন, প্রতিটি পোশাকই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। প্রথম দফায় আনা পোশাক বিক্রি প্রায় শেষ। ২য় দফার পোশাক দু‘একদিনের মধ্যে খোলা হবে। এক্সপোর্ট কালেকশনের মালিক ইয়াদুল মোমিন বলেন- তারা শিশু আর যুবকদের পোশাক বিক্রি করেন। তাদের দোকানে ২৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পোশাক রয়েছে। বেচা-বিক্রিতে তারা সন্তুষ্ট।
ঈদের বাজারে শাড়ির প্রতি আকর্ষণ কম। বিভিন্ন শাড়ির দোকানে টাঙ্গাইল শাড়ি ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা, জর্জেট শাড়ি ১২০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা, সিল্ক শাড়ি দুই হাজার টাকা থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সুতি পাঞ্জাবি তিনশ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা, জর্জেট পাঞ্জাবি দেড় হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা, সিল্ক পাঞ্জাবি (ভারতীয়) দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা, জামদানি পাঞ্জাবি ৭০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা, টিস্যু পাঞ্জাবি সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা, মটকা পাঞ্জাবি ১২০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা দাম রয়েছে।
টেইলার্সগুলোতে ইতোমধ্যে অর্ডার নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। যা অর্ডার আছে তাই ঈদের আগে তৈরিতে ঝুঁকি হয়ে গেছে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত সেলাই মেশিন আর অতিরিক্ত টাকা দিয়ে মহিলা দর্জিদের দিয়ে সেহরির সময় পর্যন্ত কাজ করছেন। শাপলা টেইলার্সের মাষ্টার হাসমত জানান রেডিমেট পোশাকের চেয়ে মেয়েরা তৈরি পোশাকেই আগ্রহী বেশি।