বাজিস-৩ : নীলফামারীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে সরিষার আবাদ

236

বাজিস-৩
নীলফামারী-সরিষা আবাদ
নীলফামারীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে সরিষার আবাদ
নীলফামারী, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে সরিষার আবাদ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্র জানায়, এবারে ছয় উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ১৩৬ হেক্টর জমিতে। সেখানে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৩৫৪ হেক্টর জমিতে।
সূত্রটি জানায়, এবার আবাদ হয়েছে বারি সরিষা-৯, ১৪,১৫,১৭, টরি-৭, বিনা ৪ ও ৭ জাতের সরিষা। এসকল জাত উচ্চ ফলনশীল। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১২ মণ।
জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি গ্রামের কৃষক জয়নাল মিয়া (৪৫) বলেন, আগাম আমন ধানের আবাদ করে সে জমিতে সরিষা আবাদ করা যায়। সরিষার পর খুব সহজেই সে জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা সম্ভব। ওই দুই ফসলের মাঝখানে আরেকটি বাড়তি ফসলে কৃষকের বেশি লাভ হওয়ায় বাড়ছে সরিষার আবাদ।
গতবছর আধা বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন একই ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের বুলবুল হোসেন (৪০)। এবারে আবাদ করেছেন দেড় বিঘা জমিতে। তিনি বলেন, প্রতি বিষা সরিষা আবাদে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। গত বছর আধা বিঘা জমিতে উৎপাদন হয় ৫ মণ। প্রতি মণ বিক্রি করেছি ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে। তাতে আমার লাভ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। ওই টাকা লাগিয়েছি বোরো আবাদে। লাভজনক হওয়ায় এবার আবাদ করেছি দেড় বিঘা জমিতে।’ ওই কৃষকের হিসাবমতে, সরিষার বাজারদর এমন থাকলে প্রতি বিষায় উৎপাদ খরচ বাদে লাভ হয় প্রায় ১৪ হজার টাকা। আর ফসল উঠানো সম্ভব ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম আযাদ বলেন, লাভজনক হওয়ায় দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে। আমন ধান আবাদের পর ওই জমিতে বোরো ধান লাগানোর আগে সরিষা আবাদ করতে পারায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১২৪২/নূসী