বাসস দেশ-৩১ : বেকারত্ব দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

286

বাসস দেশ-৩১
বস্ত্র-মন্ত্রী-অভিনন্দন
বেকারত্ব দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : বেকারত্ব দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন নতুন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
আজ সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিসে এসে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর সচিবালয়ে নিজ দফতরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন নতুন মন্ত্রী।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি বলেন, ‘আগের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী যেসব কাজ অসমাপ্ত রেখে গেছেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সমাপ্ত করা হবে।’
‘সুশাসন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বেও দেশের মানুষ ভাবতে পারেনি এতো উন্নয়ন হবে, আজ বাংলাদেশ উন্নয়নে পাকিস্তানসহ অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। পাট ও বস্ত্র বাংলাদেশের বড় শিল্পখাত। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধি, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃজন এবং দারিদ্র বিমোচনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এখানে নতুন প্রজন্মকে কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে বলেন, বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি আরো বেগবান করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সফলতার সাথে দ্রুতগতিতে রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্য অজর্নে কাজ করে যাবো । প্রধানমন্ত্রী পাটশিল্পের প্রতি খুবই আন্তরিক। বিজেএমসির মৃতপ্রায় পাটকল পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পুরাতন মেশিনের পরিবর্তে আধুনিক মেশিন সংযুক্তকরণে কাজ দ্রুত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার বস্ত্রখাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে সকল ধরণের নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে। বস্ত্রখাতে কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নতি দুটোই সমানভাবে জড়িয়ে আছে। দেশের উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। আর এটাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাট শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরো অনেক বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে বাজারজাতকরণের জন্য নতুন নীতি ও পরিকল্পনা নেয়া হবে।
বাসস/সবি/এমএন/২০২০/এবিএইচ