ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা কারাগারে

203

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত মামলায় দন্ডিত সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান সাবেক বিএনপি নেতা নাজমুল হুদার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এ মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। ২০১৭ সালে উচ্চ আদালত তার সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দেয়। গতবছর ১৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতের ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করে। সেখানে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সে অনুযায়ি আজ আত্মসমর্পন করেন তিনি।
এ মামলায় দুদকের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় সুপ্রিমকোর্ট নাজমুল হুদাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। আজ তিনি হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন। জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।
২০০৭ সালের ২৭ অগাস্ট বিশেষ জজ আদালতে এই মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদন্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের দন্ড দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্ট তাদের খালাস দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে উভয় আবেদনের শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়। পরে মামলাটির পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায়ে নাজমুল হুদার সাত বছরের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদন্ড দেয়।