কিশোরগঞ্জ, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চির বিদায় জানিয়েছে কিশোরগঞ্জবাসী। তার শেষ যাত্রায় লাখো মানুষের ঢল নামে। দলমত নির্বিশেষে মানুষ তার জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
আজ রোববার দুপুর দেড়টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন শহরের পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা খলিলুর রহমান।
এখানে নামাজে জানাজায় শরীক হন- সৈয়দ আশরাফের তিন ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম, ডঃ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও ডঃ সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, বিসিবি সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি নাজমুল হাসান পাপন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংক্যক মানুষ। এ সময় সেখানে সৈয়দ আশরাফের একমাত্র মেয়ে সৈয়দা রীমা ইসলাম, দুই বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সৈয়দা রাফিয়া নূর রূপাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখানে জাতীয় পতাকা মোড়ানো কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা। সেখান থেকে মরদেহবাহী গাড়ির বহর পৌঁছে শোলাকিয়া মাঠে।
জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই দলে দলে লোকজন আসতে থাকেন শোলাকিয়ায়। দুপুরের আগেই বিশাল শোলাকিয়া ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একসময় মাঠের সীমানা পেরিয়ে আশপাশ লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
জানাজার আগে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জানাজা শেষে মরদেহে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দুপুর ২টায় আশরাফের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেয়া হয় ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ আবারও ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।