মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে

344

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : আজ সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
থাইল্যান্ড উপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নঁওগা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যহত থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ।
আজ সকাল ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫ টা ২৬ মিনিট এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ০৬ টা ৪৩ মিনিটে।
দেশে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং আজকের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অপর এক আবহাওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১০.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯৫.৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপূর্বে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপূর্বে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৪৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০২ (দুই) (পুনঃ) ০২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী
সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া
পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।