অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা উন্নয়নে ১১৪৭০কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প

400

ঢাকা, ২৯ মে, ২০১৮ (বাসস) : দেশের নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিতকরণে অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা উন্নয়নে ১১হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বাসসকে জানান, সরকার দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরমধ্যে ১হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নদীর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথের নাব্যতা উন্নয়নে কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মধ্য মেয়দী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫০৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের নাব্যতা উন্নয়নের কাজ পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, নদী নাব্যতা রক্ষায় ও নদীপথ খনন, ড্রেজার ক্রয়, নৌ-দুর্ঘটনা রোধ, সমুদ্র ও স্থলবন্দরসমূহের উন্নয়নে বাতিঘর ও বয়াবাতির ব্যবস্থাপনাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত সরকারের সময় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩ টি নৌ-পথ খনন কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার একশ’ কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করা হয়েছে ও প্রায় তিন হাজার একর জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাদারীপুর-চরমুগরিয়া- টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ এলাকার মৃত প্রায় মধুমতি এবং আপার কুমার, লোয়ার কুমার ও কুমার নদীর প্রায় ১১০ কিলোমিটার এবং ঢাকা শহরে চারদিকে ৭০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌ-পথের নাব্যতা উন্নয়নসহ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬২৮ কিলোমিটার নৌ-পথের নাব্যতা উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়া মংলা-ঘাসিয়াখালি নৌ-পথ খনন করে চালু করা হয়েছে। এতে ৮৪ কিলোমিটার পথ কমে এসেছে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে ২০ হাজার ৪ শত কিলোমিটার নৌ-পথ হারিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌপথ উন্নয়ন ও নাব্য রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ৩২শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার নির্মাণ ও সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বর্তমান সরকার ঢাকার চারদিকে নদী তীরের উচ্ছেদকৃত ভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের দু’পাশে ২৪০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে বলে। এ ছাড়া ঢাকা ও বরিশাল, নদী বন্দর ২টি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বরগুনা ও যশোরের নওয়াপাড়া নদী বন্দরের উন্নয়ন এবং সীতাকুন্ড, কাঁচপুর ও টঙ্গীতে ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।