বাজিস-৮ : দিনাজপুরে ইতালীয় নাগরিক হত্যার চেষ্টা মামলার ২ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

243

বাজিস-৮
দিনাজপুর-পরোয়ানা
দিনাজপুরে ইতালীয় নাগরিক হত্যার চেষ্টা মামলার ২ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি
দিনাজপুর ২৯ মে, ২০১৮ (বাসস) : জেলা শহরে ইতালী নাগরিক ফাদার পিয়েরো পারোলারী হত্যার চেষ্টা মামলায় ২ সাক্ষীকে আগামী ১৭ জুলাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করতে বিচারক গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের সূত্রে প্রকাশ, মামলার ভিক্টিম ধর্মযাজক পুরোহিত ডা. পিয়েরো পারোলারী ও সদর উপজেলার খামার কাচাই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগমকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সমনজারী করা হয়। আজ মঙ্গলবার এই মামলার বিচারের জন্য দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে দিন ধার্য ছিল। ওই ২ সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদেরকে আগামী তারিখ ১৭ জুলাই আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য হাজির করতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।
এদিকে এই মামলার অভিযোগপত্রের আসামী জেএমবির এহসার সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ডেনিস ওরফে জিৎ (২৮), মোসাব্বিরুল আলম খন্দকার (২৭), শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শফিক মাস্টার (৩০), সারওয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান ড্রাইভার (৩৩), রাজিবুল ইসলাম ওরফে রাজিব ওরফে সুজন ওরফে জাকির ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব গান্ধী ও আব্দুর রহমান পিন্ট,ুবাদশা (২৩)কে কড়া পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় পালিয়ে থাকা অপর ২ নব্য জেএমবি সদস্য বগুড়া শাহজাহানপুর থানার হাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র রাজিবুল ইসলাম (২৫), দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার জগদল গ্রামের ইব্রাহীম আলীর পুত্র আব্দুল খালেক (২৮) এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ও হুলিয়া পরোয়ানা জারী বহাল রয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ২টি পত্রিকা মামলার নথির সাথে সংযুক্ত রয়েছে। পালিয়ে থাকা নব্য জেএমবির ৩ সদস্যের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ চলছে। বিকেলে আটক ৫ নব্য জেএমবি সদস্যকে কড়া পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনালের পাশে ইতালীয় নাগরিক ধর্মযাজক ফাদার পিয়েরো পিচমকে পিছন থেকে নব্য জেএমবির সদস্যরা মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করে পালিয়ে যায়। পিয়েরো পিচমকে প্রথমে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। এ ঘটনায় দিনাজপুর কসবা মিশনের ফাদার ইনচার্জ সিলাস কুজুর বাদী হয়ে জঙ্গী সদস্যদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি দিনাজপুর ডিবি পুলিশের এসআই বজলুর রশিদ তদন্ত করে ৮ নব্য জেএমবির সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করলে বিচার কাজ শুরু হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬৪০/মরপা