জয়পুরহাটে আগাম জাতের আলু চাষে কৃষকদের সফলতা

638

জয়পুরহাট, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় আগাম জাতের আলু চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। আগাম আলু চাষে আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে এবার আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে ২ হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে। আগাম আলুর জাতের মধ্যে রয়েছে কারেজ ও গ্লানোলা। এ ছাড়াও দেশি পাকরি আলুর মতো দেখতে একটি জাত হচ্ছে রোমানা জাত। সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের সুন্দরপুর ও পাইকপাড়া আলুর মাঠ ঘুরে দেখা গেল ধুমধামে আগাম জাতের আলু তোলার দৃশ্য। বিঘা প্রতি এক হাজার টাকা চুক্তিতে পুরষের পাশাপাশি গ্রামের নারী শ্রমিকরাও আলু তুলছেন। প্রতিদিন ৫/৬ বিঘা জমির আলু তোলার পর টাকা ভাগ করে একেক জন ৩/৪ শ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরেন বলে জানান নারী শ্রমিক রেবেকা, ফাতেমা ও হানুফা বেগম। নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণের ফলে গ্রামীণ জনপদে অসহায় দরিদ্র পরিবার গুলোতে আশ্বিন-কার্তিক মাসে এখন আর অভাব দেখা যায়না। পাইকপাড়া গ্রামের আলু চাষি সামাদ হোসেন জানান, বর্তমানে বাজারে কারেজ ও গ্লালোনা জাতের আলু ৮ শ থেকে ৯শ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে খরচ বাদে মণ প্রতি আলুতে লাভ থাকছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ৯০ মণ পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন এবং দাম ভালো পাওয়ায় খুশি বলে জানান কৃষক সামাদ হোসেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম বলেন, দাম ভালো পাওয়া ও আগাম জাতের আলুতে রোগবালাই কম থাকায় জেলায় আগাম জাতের আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।