ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ছিল ৫.৩৫ শতাংশ

455

ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বর থেকে সামান্য কমে ৫.৩৫ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বর মাসে এই হার ছিল ৫.৩৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্য এবং সাধারণ পণ্যের দাম কিছুটা কমায় মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস পেয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মীট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে মাসিক ভোগ্য পণ্যের মূল্য সূচক প্রকাশকালে এ তথ্য জানান।
সাধারণ মূল্য সূচক অক্টোবরে ছিল ৫.৪০, সেপ্টেম্বরে ছিল ৫.৪৩ এবং আগস্টে ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাইতে ছিল ৫.৫১ শতাংশ, জুনে ৫.৫৪ শতাংশ, মেতে ছিল ৫.৫৭ শতাংশ,এবং এপ্রিলে ছিল ৫.৬৩ শতাংশ, মার্চে ৫.৬৮ শতাংশ, ফেব্রুয়ােিত ছিল ৫.৭২ শতাংশ এবং জানুয়ােিত ছিল ৫.৮৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ি ডিসেম্বরে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয় ৫.২৮ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ৫.২৯ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে চিনি, দুধ,পামওয়েল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গত দশ বছরের মধ্যে চিনির দাম সর্বনি¤œ পর্যায়ে। মূল্যস্ফীতি আরো কমে চলতি অর্থ বছরে ৫.৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় তার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে দেশের জনগণের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে, তাদের আশংকা ছিল ভোটে যদি সরকার পরিবর্তন হয়, তাহলে চলমান উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দেশবাসী স্বত:স্ফূর্তভাবে নৌকার পক্ষে ভোট দেয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। তিনি বলেন, আমরা ব্যর্থ হব না। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিবিএস’র তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, পল্লী এলাকায় ডিসেম্বরে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৪,৮৪। নভেম্বরে ছিল ৫.০৬ শতাংশ। নগরে ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.২৭ শতাংশ। নবেম্বরে ছিল ৬.৩২ শতাংশ। গত জানুয়াি থেকে ডিসেম্বর পযর্ন্ত বছরে গড়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৫৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পযর্ন্ত ছিল ৫.৭০ শতাংশ।