বাজিস-৭ : জয়পুরহাটে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২২৫ কৃষকের মাঝে কেঁচো সার বিতরণ

236

বাজিস-৭
জয়পুরহাট-বিতরণ
জয়পুরহাটে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২২৫ কৃষকের মাঝে কেঁচো সার বিতরণ
জয়পুরহাট, ২৯ মে, ২০১৮ (বাসস) : সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব সার উৎপাদন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে ২শ’ ২৫ কৃষকের মাঝে মঙ্গলবার বিনামূল্যে ভার্মি কম্পোস্ট ( কেঁচো সার) বিতরণ করা হয়েছে।২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় কৃষকদের মাঝে এ কেঁচো সার ও উপকরন বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হাসিবুল আলম লিটন, জাহেদা কামাল, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফাহমিদা নাহার প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ২২৫ জন কৃষকের মাঝে ভার্মি কম্পোস্ট সার ( কেচোঁসার), প্রদর্শনীর জন্য উপকরণ হিসেবে ২টি রিং ও পরিবহন খরচ বাবদ প্রতিজন কৃষককে দুই’শ করে টাকা প্রদান করেন।
মাটির পুষ্টিমান বৃদ্ধি, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, ভূমিক্ষয় রোধ, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও মাটির রাসায়নিক বিক্রিয়ার মান নিরপেক্ষ রাখতে সহায়তা করে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেচোঁ সার। কেচোঁ সারের উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন শতকরা এক ভাগ, ফসফরাস এক ভাগ, পটাশিয়াম এক ভাগ, জৈব কার্বন ১৮ ভাগ ও পানি রয়েছে ১৫ থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত। কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে প্রথমে গর্ত তৈরি করে রিং স্থাপনের পর নিচে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর গর্তে ছোট ছোট কাটা ঘাস, আমের পাতা, হাস মুরগির বিষ্টা, পচা গবর দিয়ে ২০০ টি কেচোঁ ছেড়ে দিতে হবে। রিংয়ের উপরিভাগে পাটের ভিজানো বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ৩ দিন পর পর ২১ দিন পর্যন্ত ৫০-৬০ ভাগ আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য হালকা পানি ছিটাতে হবে। ২৮ -৩২ দিনের মাথায় কেঁচো সার সংগ্রহ করার উপযোগী হয়। ২ ঘন্টা রোদে শুকানোর পর বাজারজাত করাসহ মাঠের ধান, আলু, শাকসবজি, ফুলের টে এই সার ব্যবহার করা যাবে বলে জানান, কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম।
বাসস/ সংবাদদাতা/১৬১০/মরপা