বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় কিস্তি) : বিএনপি’র নির্বাচন বয়কটের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না : প্রধানমন্ত্রী

159

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সিএমএইচ
বিএনপি’র নির্বাচন বয়কটের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না : প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী, মহাজোটের প্রার্থী এবং এজেন্টবৃন্দ রয়েছেন তাদেরকে আমি বলতে চাই নির্বাচনের শেষ অবদি আপনারা ভোট কেন্দ্রে থাকবেন এবং রিটার্নিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারদের স্বাক্ষর করা ভোটের ফলাফল নিয়ে তবেই বাড়িতে ফিরবেন।’
আগামীকালের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
‘যদি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে পারি, আমি আপনাদের একুটু নিশ্চয়তা দিতে পারি স্থানীয় এবং বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে, ’যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা এ সময় জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ায় তাঁর দৃঢ় আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘কাজেই আমরা চাইব নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হোক।’ তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস জনগণ আমাদের ভোট দিলে আমরা ক্ষমতায় থাকেবো, নচেৎ নয়,আমি এটা জনগণের ওপরই ছেড়ে দিলাম।’
শেখ হাসিনা এ সময় ৬ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা এবং ৪৫০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে আহত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
নির্বাচনের আগে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর গোপন হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা একদিকে বিদেশে আমাদের নামে নালিশ করছে অন্যদিকে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে।’
তিনি দলের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য্য ধারনের আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি-জামায়াত আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে কিন্তু আমাদের দলের সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। কেননা আমরা জানি জনগণ আমাদেরকেই ভোট দেবে।
দেশের জনগণ আগামীকাল একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে কেউ যেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে এবং আওয়ামী লীগ এবং মহাজোটের প্রার্থী এবং নেতা-কর্মীদের এ বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
চলবে-বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/১৬২০/কেএমকে