বাজিস-২ : মেহেরপুরের গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের আস্থা বাড়ছে

211

বাজিস-২
মেহেরপুর-কমিউনিটি ক্লিনিক
মেহেরপুরের গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের আস্থা বাড়ছে
মেহেরপুর, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে মেহেরপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর পরিবেশের মান বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আস্তা বাড়ছে। জেলা শহরের মতো হাসপাতালগুলোর মতো কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেই মানুষ এখন প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, শহরের হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবার মান আরও বৃদ্ধি করা হবে।
গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো এ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনগুলো। মেহেরপুর জেলার ১৮টি ইউনিয়নে ৭১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু না করার কারণে ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলো। গবাদিপশুর আবাসস্থল ছাড়াও গ্রামের মানুষজন ভবনগুলো নানা কাজে ব্যবহার করতো। বর্তমান সরকার গ্রামীন মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা চালু করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে সক্রিয় করেছেন। ঝকঝকে তকতকে করা হয়েছে অভ্যন্তরীন ও বহিঃপরিবেশ। এ কারণে মানুষজন এখন প্রাথমিক যে কোন রোগ চিকিৎসায় কমিউনিটি ক্লিনিকমুখি হয়েছে।
গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়নের ধর্মচাকী ভোমরদহ গ্রামে চিকিৎসা নিতে আসা রেবেকা সুলতানা জানান- গ্রামের বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হওয়ায় খুশী। এখন বাড়ির কাছেই চিকিৎসা পাচ্ছেন। সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা সুফিয়া খাতুন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। পরিবেশ সুন্দর হয়েছে। এতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু ভাল ডাক্তার নেই। সব ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় না। গর্ভবতী মায়েরা অসুস্থ হলে শহরে ছুটতে হয়। ভাল ডাক্তার ও পর্যাপ্ত ওষুধ সুবিধা পেলে ভাল হতো। তবে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা পাচ্ছেন যা এতদিন আশা করেননি।
ক্লিনিকগুলোতে ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটার এইড এর অর্থায়নে স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ পরিবেশ উন্নয়নে প্রকল্প কাজ শুরু করেছে। সরকারি ও বেসরকারি অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানুষজনকে স্বাচ্ছন্দের সাথে কি¬িনকমুখি করতে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে বললেন বাস্তবায়নকারী প্রকল্প কর্মকর্তা।মেহেরপুর ইমপ্যাক্ট ওয়াশ ইন হেলথ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী মো: সোয়েব এমরান বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা সহ পরিবেশ সুন্দর করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব ক্লিনিকের পরিবেশও সুন্দর করা হবে।
পিরোজপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের তত্ত্বাবধায়ক শিউলি বেগম বলেন, পরিবেশ সুন্দর হওয়ায় রোগী চাপ বাড়ছে। প্রতিদিন ৫০-৬০জন রোগী আসে। তাদের প্রাথমিক সব চিকিৎসা দেয়া হয়।
মেহেরপুর স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস বলেন, চিকিৎসক দিলে গ্রামের গর্ভবতী মায়েদের আর কষ্ট করে শহরে যেতে হবে না। এখানে এ কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে এখণ স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে কিছু সমস্যা আছে পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/আহো/১৩৪৫/নূসী