বাজিস-১ : জয়পুরহাটে ২৪৯ ভোট কেন্দ্রর জন্য নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

200

বাজিস-১
জয়পুরহাট-নির্বাচনী সামগ্রী
জয়পুরহাটে ২৪৯ ভোট কেন্দ্রর জন্য নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ
জয়পুরহাট, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার দুটি আসনে ২৪৯টি ভোট কেন্দ্রের জন্য নির্বাচনী সরঞ্জামাদী শনিবার সকাল থেকেই বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলে।
শনিবার সকালে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়। উপজেলা পরিষদের হল রুম থেকে ওই সকল নির্বাচনী মালামাল প্রিজাইডিং অফিসারদের হাতে তুলে দেয়া হয়। সঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহস্যসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র বাসস’কে জানায়, সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-১ আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ১৪৬টি, ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৯২টি। ভোটার হচ্ছেন ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার হচ্ছেন ২ লাখ ৮৫ জন। কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১০৩ টি, ভোট কক্ষ হচ্ছে ৬০৭টি। এ আসনে ভোটার হচ্ছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৫৪৩ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯১ জন।
পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান জানান, জয়পুরহাট-১ আসনে ১৪৬ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি কেন্দ্র সাধারণ হলেও ১০২টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২ আসনেও ১০৩ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯ টি কম সাধারণ ও ৬৪টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান রশীদুল হাসান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-১ ও ২ আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় এক উৎসব মূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তফশিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হয় নির্বাচনী প্রচারণা। বর্তমানের এখানকার নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। জয়পুরহাট-১ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু (নৌকা)। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী নাই। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত বাসদ নেতা অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ (মই), জাপা নেতা তিতাস মস্তোফা (লাঙ্গল) , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে দেওয়ান মো: জহুরুল ইসলাম (হাত পাখা) ও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগম (ডাব)।
জয়পুরহাট-২ আসনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ( নৌকা), বিএনপি নেতা এ্যাড: আবু ইউসুফ মো: খলিলুর রহমান (ধানের শীষ), বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির শাহ জামাল তালুকদার (কোদাল) , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আব্দুল বাকী লড়ছেন হাত পাখা প্রতীক নিয়ে । জাপা থেকে কাজী আবুল কাশেম রিপন (লাঙ্গল) থাকলেও গত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। জেলায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম।
বাসস/সংবাদদাতা/মমআ/১২৪০/-নূসী