বাসস দেশ-৩৪ : উন্নয়নের স্রোতধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন অর্থমন্ত্রী

273

বাসস দেশ-৩৪
মুহিত-সিলেট
উন্নয়নের স্রোতধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন অর্থমন্ত্রী
সিলেট, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘টানা দুই মেয়াদে (১০ বছর) শেখ হাসিনার সরকার দেশের জনগণের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উন্নয়ন করেছে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে এখন উন্নয়ন ও মর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, উন্নয়নের এই স্রোতধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশের জনগণ নৌকায় ভোট দিবেন।
এএমএ মুহিত আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট মহানগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সিলেট-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে নগরীতে গণমিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি সিলেটবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,‘আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে গত ১০ বছর আমি আপনাদের প্রতিনিধি ছিলাম। সর্বোচ্চ চেষ্টা ও আন্তরিকতা দিয়ে আপনাদের সেবাও করেছি।’
জাতির পিতার কন্যা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট-১ আসনে ড. মোমেনকে নৌকার প্রার্থী করেছেন-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ আসনে আমাকে আপনারা যেভাবে নির্বাচিত করার মাধ্যমে সিলেটসহ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ দিয়েছেন, সেভাবে আমার ছোট ভাই মোমেনকেও ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। সিলেট-১ আসনের জনগণের প্রতি আমার প্রত্যাশা ও প্রার্থনা- আপনারা ৩০ ডিসেম্বর সিলেটে মোমেনের বাক্সে ভোট দেবেন, সারাদেশে নৌকার বাক্সে ভোট দেবেন, শেখ হাসিনার বাক্সে ভোট দেবেন।’
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নির্বাচনী সর্বশেষ এই মিছিলটি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে রুপ নেয়।
এ সময় মহাজোটের প্রার্থী ড. মোমেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মঙ্গল, মানুষের কল্যাণ এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত আলোকিত ও উন্নত সিলেট গড়তে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে এ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/২০১৫/এএএ