শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

431

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আগামী ৩০ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েনের মাধ্যমে সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার ১ লাখ ৪৫ হাজার পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার র‌্যাব সদস্য, ৪ লাখ ৭০ হাজার আনসার সদস্য এবং ৪০ হাজার গ্রাম্য পুলিশ মোতায়ের করেছে। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ইতোমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্ট গার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা প্রিজাইডিং অফিসারের প্রয়োজনে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। পাশাপাশি ১ হাজার ৬ শত ৯৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে শাস্তি প্রদান করতে পারবে। সরকার একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ ও একজন সশস্ত্র আনসারসহ ১৪ নিরাপত্তা রক্ষী থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে সশস্ত্র সদস্যের সংখ্যা ৪ জন থাকবে। প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন থাকবে সশস্ত্র। মেট্রোপলিটন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় ১৮ জন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে ৭ জন থাকবে সশস্ত্র। নির্বাচন কমিশন ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সারাদেশে ৪০ হাজার ১৯৯ টি ভোট কেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে। পুলিশ নেতিবাচক শব্দ এড়িয়ে চলতে এর মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৭টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলার পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ বলে সনাক্ত করেছে। সারাদেশে ১০৪.২ মিলিয়ন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
নির্বাচর শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে র‌্যাবের প্রস্তুতি সম্পর্কে এ বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ নগরীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে র‌্যাব সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ইতোমধ্যেই র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে ১০ হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। তিনি আরো জানান, সামাজিক নেটওয়ার্কে নির্বাচন নিয়ে অসত্য সংবাদ প্রকাশ প্রতিরোধে সাইবার নিউজ সার্টিফিকেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি কোন ধরনের গুজবে কান না দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোট কেন্দ্রে যেতে ভোটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোট কেন্দ্রগুলোতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিগ্নে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, এ জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোট কেন্দ্রে এবং ভোট কেন্দ্রের বাইরে কোন স্থানে নিরাপত্তা যাতে কেউ বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, এ জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।