ইউজিসি চলতি বছর গবেষণায় বরাদ্দ ২৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে : মান্নান

473

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, ইউজিসি দেশের উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এজন্য শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণায় নজর দিচ্ছে। গবেষণায় এ বছর বরাদ্দ ২৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) ১০ বছরের অর্জন নিয়ে দিনব্যাপী এক জাতীয় কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান একথা জানান।
হেকেপ-এর বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইউজিসি শিক্ষাক্ষেত্রে বৃহৎ এ প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অর্জন তুলে ধরতে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন।
কর্মশালায় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (উন্নয়ন) অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদ- উল হক এবং বিশ্ব ব্যাংক ঢাকার সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার ড. মোঃ মোকলেছুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। হেকেপের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত স্বাগত বক্তব্য দেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প দেশের উচ্চশিক্ষার চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে। উচ্চশিক্ষার কোন প্রকল্প ৯৯ শতাংশ সফলতা অর্জন করতে পারেনি উল্লেখ করে মান্নান বলেন, বিশ্ব ব্যাংক এ প্রকল্পের সফলতায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে এবং নতুন একটি প্রকল্পে অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় ৩৮ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪২ শতাংশ। এ সংখ্যা ৫০ শতাংশে উন্নীত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন বলেন, হেকেপ অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে। এর অধীনে বেশ কিছু যুগান্তকারী গবেষণা কর্ম হয়েছে। এসব গবেষণা কর্ম দেশের উচ্চশিক্ষা তথা দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তিনি উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে এর সফলতা ধরে রাখার আহ্বান জানান।
সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, হেকেপ ও বিশ্ব ব্যাংকের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৩৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থমূল্যের এ প্রকল্পের কাজ ২০০৯ সালে শুরু হয় এবং চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরে এটি শেষ হবে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষায় পঠন-পাঠনে ও গবেষণায় গুণগত পরিবর্তন সাধন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।