বাসস দেশ-৪ : জামায়াতের প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন

148

বাসস দেশ-৪
জামায়াত-প্রার্থী-রিট
জামায়াতের প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
ইসি’র ২৪ ডিসেম্বরের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে আজ এই সম্পূরক আবেদন করা হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আবেদনটি উপস্থান করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। পরে তিনি জানান, আদালতে আবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত আগামীকাল কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপূরী, দলটির সমাজ কল্যাণ সচিব মো. আলী হোসেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মো. এমদাদুল হক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল পূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন চার ব্যক্তির করা আবেদন তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত ১৮ ডিসেম্বর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. সেলিম মিয়া আবেদনকারীদের একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, আবেদনটি ৪১/২০১৮ তম সভায় আলোচনা হয়। আলোচনা অন্তে আপনার আবেদনে উল্লেখিত ২৫ জন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ না থাকায় নির্বাচন কমিশন আপনার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে আজ ফের আবেদন করেন। আবেদনে ইসির ২৪ তারিখের চিঠি কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ জনকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য-২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া, বাকি তিনজন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীরা হলেন- দিনাজপুর-১ আসনে মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ আসনে মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আসনে আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ আসনে এডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আসনে অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ আসনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ আসনে মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ আসনে ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ।
চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৪২০/কেকে