বাসস দেশ-৭
বিআইডব্লিউটিএ’র ছাড়পত্র
নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এমন ধরনের কোন সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না
ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ (বাসস) : নিরাপদ এবং সুষ্ঠু নৌ-চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এমন ধরনের কোন্ সেতু ও স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
দেশের বিভিন্ন স্থানে জলপথের উপর ও তীরভূমিতে ছোট-বড় যে কোন্ ধরনের সেতু ও স্থাপনাদি নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ছাড়পত্র নিতে হবে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ-পথে বিদ্যমান লো-হাইট ব্রীজ অপসারণের কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয় যে, বর্তমানে দেশে ‘প্রথম’ ‘দ্বিতীয়’ ‘তৃতীয়’ ও ‘চতুর্থ’ এ চার শ্রেণির জলপথ রয়েছে। সরকার এ সংক্রান্ত বিধিমালা ২০১০ এর সংশোধন করে ২০১৮ এর ১৩ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র আওতায় প্রথম শ্রেণির জলপথ রয়েছে ৩১টি, দ্বিতীয় শ্রেণির জলপথ ৪৯টি, তৃতীয় শ্রেণির জলপথ ১০টি এবং চতুর্থ শ্রেণির জলপথ ৫টি।
সভায় জানানো হয় যে, প্রথম শ্রেণির জলপথে সারা বছর সর্বনি¤œ ৩.৬০-৩.৯০ মিটার, দ্বিতীয় শ্রেণির জলপথে সারা বছর সর্বনি¤œ ২.১০-২.৪০ মিটার, তৃতীয় শ্রেণির জলপথে সারা বছর সর্বনি¤œ ১.৫০-১.৮০ মিটার পানির গভীরতা বিদ্যমান থাকে। চতুর্থ শ্রেণির জলপথে শুষ্ক মৌসুমে ১.৫০ মিটারেরও কম পানির গভীরতা বিদ্যমান থাকে।
এছাড়া সেতু নির্মাণের জন্য প্রথম শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে ভার্টিকেল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ১৮.৩০ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৭৬.২২ মিটার, দ্বিতীয় শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে ভার্টিকেল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ১২.২০ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৭৬.২২ মিটার, তৃতীয় শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে ভার্টিকেল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৭.৬২ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ৩০.৪৮ মিটার, চতুর্থ শ্রেণির জলপথের ক্ষেত্রে ভার্টিকেল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম পাঁচ মিটার ও হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ন্যূনতম ২০ মিটার।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং সেতু বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমএআর/১৬৪২/কেকে