বাসস দেশ-৩১
আওয়ামী লীগ-ইশতেহার-পররাষ্ট্র
বাংলাদেশের ভূখন্ড কোন সন্ত্রাসী, জঙ্গি গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত হবে না : শেখ হাসিনা
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে ভারতের সঙ্গে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশের ভূখন্ডে জঙ্গিবাদ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন শক্তিকে আশ্রয় না দেয়ার নীতি অব্যাহত থাকবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ঘোষিত ইশতেহারে এ কথা বলা হয়।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহার ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে ভারতের সঙ্গে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দশ বছরে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত এই নীতির আলোকে আমরা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছি। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের বন্দী জীবনের অবসান হয়েছে।
গত বছর মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। মানবিক কারণে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই মানবিক সিদ্ধান্ত বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা ছাড়াও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাকের স্বাগত বক্তব্যের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারপর ইশতেহার ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময়ে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/কেসি/১৯২৩/-আসচৌ
Home 0সকল সংবাদ বাসস দেশ বাসস দেশ-৩১ : বাংলাদেশের ভূখন্ড কোন সন্ত্রাসী, জঙ্গি গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত হবে...