নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুকূলে ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৪ টাকা বরাদ্দ

371

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর অনুকূলে ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৪ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এরমধ্যে পুলিশের জন্য ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ টাকা, র‌্যাবের জন্য ১০ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৫০ টাকা, কোস্টগার্ডের জন্য ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বিজিবি’র জন্য ৩৩ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং আনসার-ভিডিপি’র জন্য ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার ৬শ’ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে স্ব স্ব বাহিনীর অনুকূলে বরাদ্দের কথা জানানো হয়।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের মাঠে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠকে করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ভোট কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা থাকবে। র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন।
নির্বাচনের আগে ও পরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ও বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য অঞ্চল, দীপাঞ্চল ও হাওর) পৃথক সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী সহিংসতাপ্রবণ এলাকাগুলোর জন্য থাকবে আলাদা সতর্কমূলক ব্যবস্থা।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৪ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ ১ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন ও গ্রাম পুলিশের ১ থেকে ২ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ন কেন্দ্রে মোট ১৫ জন ও অস্ত্রসহ ৩ থেকে ৪ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ থাকবেন ন্যুনতম ২ জন।
অন্যদিকে পার্বত্য এলাকা, হাওড়, দ্বীপঞ্চলকে বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করে সেসব এলাকায় পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের মোট ১৫ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ ২ জন, অঙ্গীভূত আনসার ১২ জন ও গ্রাম পুলিশের ১ থেকে ২ জন সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মোট ১৬ জন ও অস্ত্রসহ ৪ থেকে ৫ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন এর মধ্যে অস্ত্রসহ পুলিশ থাকবেন ন্যুনতম ৩ জন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে মোতায়েন থাকবেন। সশস্ত্রবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।