বাসস দেশ-৬ : গ্রামকে আধুনিক সুবিধা দিয়ে শহরে রূপান্তর করবে আওয়ামী লীগ

160

বাসস দেশ-৬
ইশতেহার-গ্রাম-শহর
গ্রামকে আধুনিক সুবিধা দিয়ে শহরে রূপান্তর করবে আওয়ামী লীগ
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা দিয়ে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ হিসেবে গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ।
ইশতেহারে বিশেষ অঙ্গীকারে বলা হয়েছে, আগামী ৫ বছরে ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর।’ সব মিলিয়ে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঘোষিত ইশতেহার এ কথা জানানো হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবো। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেব। আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা/উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’
নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়, ‘গ্রামকে আওয়ামী লীগ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রীয় দর্শন হিসাবে বরাবরই বিবেচনা করে এসেছে। স্বাধীন দেশে জাতির পিতা সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগত ভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামঞ্চলে বৈদ্যুতিকরণের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা যোগাযোগ- ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার যুক্ত করেছিলেন। বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।’
ইশতেহারের আরও বলা হয়, গ্রাম পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র, ওয়ার্কশপ স্থাপন করে যন্ত্রপাতি মেরামতসহ গ্রামীণ যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণ করা হবে এবং এসবের মাধ্যমে গ্রামীণ যুবক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান করা হবে। অকৃষি খাতের এসব সেবার পাশাপাশি হাল্কা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সুপেয় পানি এবং উন্নতমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সুস্থ বিনোদন এবং খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। পরে আওয়ামী লীগের শাসনমালের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরা হয় তথ্যচিত্রের মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাকের স্বাগত বক্তব্যের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারপর ইশতেহার ঘোষণা করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময়ে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৩০৫/কেজিএ