অসহায় শিশুদের আশ্রয়স্থল শেখ রাসেল পুনর্বাসন কেন্দ্র

285

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ (বাসস) : নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যন্ড সংলগ্ন অসহায় পিতা-মাতাহীন এতিম, গৃহকর্মে নিয়োজিত, বাল্যবিয়ের শিকার, পাচার হওয়া থেকে উদ্ধার ও কর্মজীবী শিশুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নির্ভরতার এক অপার সুখ বয়ে নিয়ে এসেছে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধী শিশুদের সুরক্ষায় কোন প্রকার ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবন্ধী শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে সর্বমোট ১শ’ ৮৫ জন শিশু রয়েছে। যার মধ্যে বালক ৮৮ জন ও বালিকা ৯৭ জন। শিশুর ধরন অনুযায়ী পথশিশু বালক ৭ ও বালিকা ৩, শ্রমে নিয়োজিত শিশু বালক ৯, গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু বালক ৮ ও বালিকা ৬, পিতা-মাতাহীন শিশু বালক ১৩ ও বালিকা ২৫, পিতা-মাতার যতœ বা তত্ত্বাবধানহীন বালক ৩৩ ও বালিকা ৩৭, হারিয়ে যাওয়া বা পালিয়ে আসা বালক ১৪ ও বালিকা ৭, নির্যাতন ও শোষনের শিকার বালক ২ ও বালিকা ১, অন্যান্য বালক ২ ও বালিকা ১৮ জন।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে উপ-প্রকল্প পরিচালক সুভঙ্কর ভট্টাচার্য্য বাসস’কে জানান, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রায় সকল শিশুকে ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বর্নিভর করে গড়ে তুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিবাসী শিশুর প্রশিক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- কম্পিউটার, মোবাইল সার্ভিসিং, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল, টেইলারিং, ব্লক-বাটিকসহ পারিবারিক সবজি চাষসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক আল মামুন তালুকদার বলেন, শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে বর্তমানে সর্বমোট ১’শ ৮৫ জন বালক ও বালিকাকে উল্লেখযোগ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব ঝুঁকিতে থাকা অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের আশ্রয়, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা, আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, শিশু-কিশোরদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নয়নে দেশের ৬টি বিভাগে ১৪টি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে পথশিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এসব সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত, পথ শিশুরা আশ্রয় লাভ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলোয় আলোকিত করে জীবনকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।