বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : হয়রানি-বঞ্চনা মুক্ত অভিবাসন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহবান

163

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
আবদুল হামিদ- অভিবাসী
হয়রানি-বঞ্চনা মুক্ত অভিবাসন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহবান
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শোষণ-বঞ্চনা ও হয়রানি মুক্ত অভিবাসন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোনরূপ, শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতেও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তিনি আহবান জানান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত জাতীয়ভাবে এ দিবস পালিত হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৮ উদ্্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, অভিবাসনের ইতিহাসও মানব সভ্যতার মতো সুপ্রাচীন। প্রাচীনকাল থেকেই জীবিকার সন্ধান, আর্থ-সামাজিক, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে দেশ থেকে দেশান্তরে। তাই মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। গন্তব্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ছাড়াও নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীকে আরো বৈচিত্র্যময় ও বাসযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রেও অভিবাসী জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসনকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে সভ্যতার অগ্রগতিতে অভিবাসনের অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাদের কষ্টার্জিত আয় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভা-ারকে সমৃদ্ধ করছে। দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।
আবদুল হামিদ বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ ও ভূ-রাজনৈতিক নানা কারণে অভিবাসন আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অভিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশন ও সনদসমূহে বর্ণিত বিধানাবলীর যথাযথ প্রতিপালন অত্যন্ত জরুরি।
বাসস/তবি/এমআর/১৮২৫/-আসচৌ