বাজিস-৩ : জীবননগরে ভোরে পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়

131

বাজিস-৩
জীবননগর-পাখি
জীবননগরে ভোরে পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়
চুয়াডাঙ্গা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডটি প্রতিদিন প্রত্যুষে পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ীর দেওয়া খাবার খেতে পাঁচ শতাধিক শালিক পাখি ভোরে হাজির হয় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে। শালিকের সাথে কিছু কাকও আসে। পরোটা ও পারুটির টুকরো, ময়দার খামির ও বাসি ভাত-তরকারী খাওয়ার পর এরা উড়ে যায় তাদের গন্তব্যে। প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া মানুষের কাছে পরিচিত এ দৃশ্য নিত্যদিনকার। খাদ্য খেতে আসা পাখিদের কেউ বিরক্ত না করায় প্রতিদিন পাখিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা যায়।
জীবননগর বাজারের বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী আদি বাগাট দধি মিষ্টান্ন ভা-ারের স্বত্বাধিকারী নিরঞ্জন সিকদার জানান, প্রথম দিকে অনেকটা শখের বসে শালিক পাখিকে তিনি হোটেলের বাসি পরোটা ছিড়ে ছিড়ে খেতে দিতেন। কিছু দিন পর লক্ষ্য করলেন খাবার খেতে আসা পাখির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার দেখাদেখি বাজারের আরও কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ীও পাখিদের খাবার দেওয়া শুরু করেন। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এটি চলমান রেখেছেন। এখন প্রতিদিন ভোরে প্রায় পাঁচ শতাধিকেরও বেশী শালিক পাখি খাবার খেতে বাসস্ট্যান্ডে হাজির হয়। খাবার খাওয়ার জন্য তারা বৈদ্যুতিক খুঁটির তার, দোকানের চালার উপর ও রাস্তা পাশে অবস্থান গ্রহণ করে। পাখির কিচির মিচির শব্দে এ সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাখিদের অভয়ারণ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
নিরঞ্জন সিকদার আরো জানান, ভোরে হোটেলে এসেই তিনি পাখিদের খাদ্যের জন্য বাসি পরোটা কেটে টুকরো টুকরো করেন। পরোটা না থাকলে ময়দার খামির ছোট ছোট বল বানিয়ে কিংবা পাউরুটি ছিড়ে টুকরো বানান। এসময় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে এসে তার হোটেলের সামনে বসে। ঠিক ভোর সোয়া ৬টার দিকে তিনি খাবার দেওয়া শুরু করেন। এ কাজে করে মানসিকভাবে তিনি তৃপ্তি পান বলে জানান।
সিরাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রফি জানান, তার হোটেলের সামনে খাবার খেতে শালিক পাখির পাশাপাশি কিছু কাকও নিয়মিত আসে। বাজারে মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই এরা খাবার খেয়ে উড়ে যায়। কেউ এ পাখিদের বিরক্ত করে না বলে দিন দিন পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬৩৫/মরপা