বাসস দেশ-২ : ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ইস্তেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখার ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয় : রহমান

139

বাসস দেশ-২
রহমান-ঐক্যফ্রন্ট-ইস্তেহার
ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ইস্তেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখার ঘোষণা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয় : রহমান
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ইস্তেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখা এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের ঘোষণা মানুষের সঙ্গে নেহায়েত প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই তারা নানা ধরনের প্রতিশ্রুতির কথা বলেছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখা, প্রতিহিংসার রাজনীতি না করা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে তাদের ঘোষণা সত্যের অপলাপ মাত্র।’
রহমান বলেন, নির্বাচনে যারা যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানকে মনোনয়ন দেয়, দুর্নীতির মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পালাতক জীবন-যাপন করে এবং এতিমের টাকা চুরি করে জেলে রয়েছে তাদের মুখে এ ধরনের ঘোষণা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছুই নয়।
আব্দুর রহমান আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখবে তা দেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ জামায়াতের অনেক নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।
তিনি বলেন, তারা এ বিচার চলমান রাখবে এ ধরনের প্রতিশ্রুতি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের মানুষ তাদের এ ধরনের বক্তব্য কখনো বিশ্বাস করবে না।
তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছে, মন্ত্রী বানিয়েছে তারা কিভাবে এ বিচার প্রক্রিয়া চলমান রাখবে। এটা দেশের মানুষের সঙ্গে নেহায়েত প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না।
রহমান বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হয়ে লন্ডনে ফেরারি জীবন যাপন করছে। কে না জানে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরির দায়ে জেলে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হাওয়া ভবন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু না।
তিনি আরো বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নেহায়েত রাজনৈতিক অপকৌশলের অংশ হিসেবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই এ ধরনের ইস্তেহার দিয়েছে। কিন্তু তাদের এ অপকৌশল কখনো সফল হবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশের মানুষ আবারও বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে নির্বাচিত করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতারা সেই দুর্ভাবনা থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আর তাই বিএনপির নেতারা তাদের মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধে সহিংসতাকে সরকারের ওপর চাপিয়ে নির্বাচন বানচালের অজুহাত তৈরি করছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতাদের হুশিয়ার করে রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কোন ষড়যন্ত্রই নির্বাচনকে ঠেকাতে পারবে না। যে কোন মূল্যে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৪২৫/কেজিএ