বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

329

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৮ পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালোব্যাজ ধারণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ৯ টায় দমদমা বধ্যভূমিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক শোক র‌্যালির পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৮ আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সভায় অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হল প্রভোস্ট ফেরদৌস রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বরের মতো ন্যাক্কারজনক একটি দিনের জন্ম দিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনারা। দেশ স্বাধীনের জন্য নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা অনেক বুদ্ধিজীবীকে হারালেও ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে এই দিনে তারা জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এই জঘন্য এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
বক্তারা বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসে কিংবা স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য যেসকল শহীদ আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে এবং যার যার জায়গা থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। তারা আরো বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এখনো যারা দেশের বিপক্ষে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে তাদের নির্মূল করতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে যাতে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা মাথা তুলে দাড়াতে না পারে।