বাসস দেশ-২৬ : প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ে ‘বিজয় ফুল’ প্রতিযোগিতা কাল

338

বাসস দেশ-২৬
বিজয়ফুল-প্রতিযোগিতা
প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ে ‘বিজয় ফুল’ প্রতিযোগিতা কাল
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয়ফুল (শাপলা) তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল।
প্রথমবারের মতো দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় ছেলে ও মেয়ে উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনারকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৯ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি বিষয়ক) মো. মোজাম্মেল হক।
সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজির লিটন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হবে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগিতা।শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি গ্রুপ-ক:, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ-খ: এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি গ্রুপ- গ,এই তিন স্তরে সাতটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিযোগিতার বিষয় বিজয়ফুল তৈরি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ। প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ, কাপড়, প্লাস্টিক সীট ও অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত নিবন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে।
নাসির জানান, ‘বিজয়ফুল শুধু একটি প্রতীক বা একটি স্মারক নয়, এটি একটি পন্থাও বটে। এ ফুলের মাধ্যমে দেশ, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের কথা বলতে পারি। সেই সঙ্গে বিজয়ফুলকে নিয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারি। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল এবং বিজয়ফুলের প্রতীক। বিজয়ফুলে ছয়টি পাঁপড়ি ও তার মাঝখানে একটি কলি রয়েছে। কলিসহ সাতটি ভাগ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। অন্যদিকে,ছয়টি পাঁপড়ি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল বীজ বপণ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে স্মরণ করাবে।’
এছাড়া বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা আয়োজন শিশু-কিশোর ও নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো ভালোভাবে ধারণ, লালন ও বিকাশ এবং উদ্বুদ্ধকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, তৈরি করা বিজয়ফুল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অথবা প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বাসস/সবি/এসএস/১৯৪০/অমি