বাসস দেশ-২৩ : মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান

183

বাসস দেশ-২৩
আলোচনা-মানবাধিকার
মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ (বাসস) : সমাজে সমতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট অন ইউপিআর আউটকাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা আজ এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম বলেন, বর্তমান সরকার সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে সরকারের কাছে নাগরিকের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। তাই প্রত্যাশা পূরণে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বিত ভূমিকা পালন করতে হবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল ১৯’ আজ রাজধানীর একটি হোটেলে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস-এর এশিয়া অঞ্চলের সুরক্ষা সমন্বয়কারী সাঈদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন।
কে এম আবদুস সালাম প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে জাতিসংঘকে জনগণের প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হয়েছে। একইভাবে ১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রকে জনগণের প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হয়েছে। এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী চিন্তার ফসল। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মানবাধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় ‘ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ’ (ইউপিআর) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও এর ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। ইউপিআর হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রক্রিয়ার অধীনে সাড়ে চার বছর পর পর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সুযোগ পায় এবং তার আলোকে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বশেষ ইউপিআর ফোরামের ২৫১ সুপারিশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭৮টি চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ফারুক ফয়সল বলেন, নাগরিক সংগঠনগুলো সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আর্টিকেল নাইনটিন সরকার, নাগরিক ও নাগরিক সংগঠনের সমন্বিত ভূমিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
বাসস/সবি/এমজে/১৯১৫/অমি