নীলফামারী পাক হানাদার মুক্ত দিবস আজ

418

নীলফামারী, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নীলফামারী পাকহানাদার মুক্ত দিবস আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৭১ সালের এ দিনে নীলফামারীকে হানাদার মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
এসময় বীর যোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী সকল শ্রেণী পেশার জনতা। বিজয়ের উল্লাস আর স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন সে সময়ের মহকুমা শহর।
১২ ডিসেম্বর রাতে শহরের চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণে হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়ে নীলফামারী শহর ছেড়ে আশ্রয় নেয় সৈয়দপুর সেনানিবাসে।
দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদরে পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি ভিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফজলুল হক জানান, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে। শুরুতে মিটিং-মিছিল আর সভা সমারেশের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে দেশ মাতৃকা রক্ষার আন্দোলন। নীলফামারী মহকুমা শহরের অস্ত্রাগারে রক্ষিত অস্ত্র ছিনিয়ে এনে নীলফামারী বড়মাঠে শুরু হয় অস্ত্র হাতে নেয়ার প্রশিক্ষণ। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে অস্ত্র হাতে যোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। নয় মাসের গেরিলা আক্রমণ আর সম্মুখ যুদ্ধে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা মুক্ত করে তাঁরা এগিয়ে আসেন নীরফামারী শহরের দিকে। আজ ডিসেম্বর ভোরে হানাদার মুক্ত হয় নীলফামারী।