আগামী নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ : তোফায়েল

337

ভোলা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে চলেছে। আগামী নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হবে স্বাধীনতার মূল্যবোধ চেতনা বিজয়ী হবে, নাকি স্বাধীনতার বিরোধীরা বিজয়ী হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর হুজুরের মাঠে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সেই কামাল হোসেন আজকে নীতির পরিবর্তন করে ধানের শীষের পক্ষ নিয়েছেন। ধানের শীষ জামাতেরও প্রতীক, ড. কামাল হোসেনেরও প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে ক্ষমতার চাইতে আদর্শ অনেক বড়। আমি নীতি পরিবর্তন করলে শুধু মন্ত্রী নয় তার চেয়েও বড় কিছু হতে পারতাম। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ চেষ্টা করেছে। সাত বার জেলে গিয়েছি, ফাসির আসামির মত আমাকে জেলে রাখা হয়েছিল, কিন্তু আদর্শ পরিবর্তন করিনি।
তোফয়েল আহমেদ বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আমার গাড়ি ভেঙেছে, গুলি করেছে, বোমা মেরেছে। বাড়িতে আক্রমণ করেছে। বর্তমান রাষ্টপতি তৎকালীন সময়ে ভোলায় এসেছিলেন, সে সময় তাকে মিটিং করতে দেয়নি বিএনপি। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে কোন প্রতিশোধ নেইনি।
দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অভূতপুর্ব উন্নয়ন হয়েছে দেশে। আজ আমাদের মাথাপিছু আয় ১৭’শ ৫১ ডলার। রপ্তানী ৪১ বিলিয়ন ডলার। রির্জাভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ঘরে ঘরে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছে। মানুষের জীবন মানের অনেক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনের পর ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। ৩ বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। সেতুটি হলে খুব সহজেই মানুষ সড়ক পথে বরিশাল হয়ে অল্প সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। ভোলাকে কেউ আর তখন বিচ্ছিন্ন জেলা বলতে পারবেনা।
এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধের পক্ষে ভোট দেবে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুছ সালাম মাস্টারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।