সোনামগঞ্জে বারো ফসল রক্ষায় ৫৫৩টি প্রকল্পে তৈরি

203

সুনামগঞ্জ, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার ১১ উপজেলার ৩৭টি হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও ভাঙা মেরামত করতে প্রাথমিকভাবে ৫৫৩টি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।
৫৫৩ প্রকল্প জেলার সকল উপজেলা কমিটি সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর শতভাগ জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ৯৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে ১৮ কোটি টাকা উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের যৌথ একাউন্টের অনুকূলে ছাড় দেয়া হয়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি আরও ১৮ কোটি টাকা ছাড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব তথ্য জানান জেলা কমিটির সদস্যসচিব ও সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পওর শাখা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়া। সভায় ৫৫৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। জেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে সভায় বাঁধ ও ভাঙা মেরামতের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পওর শাখা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা, জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফি উল্লাহ, দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদা আফসারী, টিআইবির সভাপতি নুরুর রব চৌধুরী, দৈনিক আমাদের সময় জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল সিদ্দিকী, ধর্মপাশা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ ইসলাম, জামালগঞ্জের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন দাস ও শাল্লার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শমসের আলী।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘বোরো ফসলরক্ষায় হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত ও সংরক্ষণ সঠিক সময়েই করা হবে। যেসব হাওরের পানি নিষ্কাশন হয়েছে সেসব স্থানে বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। অপ্রয়োজনীয় কোন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে না। নীতিমালা অনুযায়ী পিআইসি গঠন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’