মনোনয়ন বাণিজ্য করে বিএনপি কর্পোরেট দলে পরিণত হয়েছে : আব্দুর রহমান

171

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করে একটি কর্পোরেট দলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নয়। তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য করে একটি কর্পোরেট দলে পরিণত হয়েছে।’
রহমান আরো বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে যে ধ্বংসলীলা হয়েছে তা রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের জন্যও তা লজ্জার বিষয়।
আব্দুর রহমান আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, স্বাথ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের মুল হোতা। লন্ডনে পালাতক দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা নিজেরাই নিজেদের অধঃপতন ডেকে এনেছে। এ অধঃপতনের জন্য তারা নিজেরাই দায়ী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রহমান বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং মির্জা ফখরুল ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাসে বৈঠক করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হচ্ছে সে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
জাতীয়পার্টির সঙ্গে আসন বন্টনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রহমান বলেন, আজ রোববার বিকেলের মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সকল মতপার্থক্য দূর হয়ে যাবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। মনোনয়ন বঞ্চিত দু’একজন প্রার্থী যারা আছে দলের বৃহত্তর স্বার্থে অচিরেই তারাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।