বাসস দেশ-৬ : সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা

124

বাসস দেশ-৬
হাসিনা-সোনার বাংলা
সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা
নয়াদিল্লী, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮(বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে বিস্ময়কর কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ স্মরণে আয়োজিত আজ এক সেমিনারে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এ কথা বলেন।
জেএনইউ এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেএনইউ ভাইস চ্যান্সেলর এম জগদেশ কুমার এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালক মেজর জেনারেল ধ্রুব কোচ বক্তব্য রাখেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বাংলাদেশ কিভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে তা তিনি দেখিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করে বিস্ময়কর সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।
মুক্তিযোদ্ধা থেকে কুটনীতিক মোয়াজ্জেম আলী বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন পিতা এবং কন্যা এই দুই মহান নেতা বাংলাদেশে অনন্য অবদান রেখেছেন।বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তাঁর কন্যা দেশটিকে সুরক্ষা দিয়েছেন।”
মোয়াজ্জেম আলী বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ৭.৮৬%জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম বিকাশমান অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশকে এখন একটি “উন্নয়নশীল অর্থনীতির মডেল” হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি আমরা এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি সেই সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। যারা আমাদের পাশে থেকে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করেছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
রাষ্ট্রদূত সেমিনারে বলেন, গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দিল্লীতে ভারতীয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরো কিছু শহীদ পরিবারের সদস্যদের ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবসে কলকাতায় ইস্টার্ন কমান্ডে সম্মান জানানো হবে।
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য ও সহযোগিতা দেয়ায় আমাদের সকল বন্ধুদের ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার এওয়ার্ড প্রদান করে সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।
বাসস/এআইএম/অনুবাদ-এমএবি/১৬৩৫/এমএসআই