প্রথম দিন আপিল বৈধ ৮০ বাতিল ৭৬

797

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫৪৩টি আপিল আবেদনের প্রথম দিন ১৬০ জনের শুনানী নেয়া হয়।
এরমধ্যে ৮০ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে ৭৬ জনের। অন্যদিকে ৪ জন প্রাথীর আবেদন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বাসসকে এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে শুনানী চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। প্রথম দিনের ১৬০ আপিল আবেদনের ওপর শুনানি চলে। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ১১ তলায় এ লক্ষ্যে গঠিত এজলাসে আপিল আবেদনের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৮০ জন, এদের মধ্যে অন্যতম হলেন, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, ঢাকা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-৫ সেলিম ভূঁইয়া জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, নাটোর-১ আসনে বীরেন্দ্রনাথ সাহা, চট্টগ্রাম-১ মি. নূরুল আমিন,
চট্টগ্রাম-৩ মোস্তফা কামাল পাশা, নড়াইল-২ ফকির শওকত আলি, সিরাজগঞ্জ-৫ ফকির শওকত আলী, কুমিল্লা- ৫ মো. ইউনুছ, সিরাজগঞ্জ-৫ মোজর (অব:) মনজুর কাদের, বগুড়া-৫ মো. আব্দুর রউফ মন্ডল জন, খাগড়াছড়ির আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া প্রমুখ।
এদিকে আপিলে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল বহাল রাখা হয়েছে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
এছাড়াও ১৬১ থেকে ৩১০ নম্বর পর্যন্ত আগামীকাল শুক্রবার এবং শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ নম্বর আবেদনের শুনানি হবে।
রিটার্নি কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্দ ব্যক্তিরা গত ৩ ডিসেম্বর ৮৪টি, ৪ ডিসেম্বর ২৩৭টি এবং গতকাল শেষ দিনে ২২২টি আবেদন দায়ের করেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।