বাজিস-১ : মানুষ ঝুঁকছে ঢেউটিনের দিকে, বিলুপ্তির পথে পাহাড়ের ছন

304

বাজিস-১
রাঙ্গামাটি-ঢেউটিন
মানুষ ঝুঁকছে ঢেউটিনের দিকে, বিলুপ্তির পথে পাহাড়ের ছন
রাঙ্গামাটি, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : সবুজ পাহাড়ের ধূসর রঙের ছনের চালার ঘর এখন আর তেমনটা চোখে পড়েনা। রোদে চিকচিক করা রুপালী ঢেউটিনের চালা বহুদূর থেকেই জানান দেয় তার সদম্ভ অস্তিত্বের কথা। সবুজের ফাকে তাই সাদার ঝিকিমিকি। আর হাজার বছরের পরম বন্ধু অভিমানি ছন ত্ইা নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে চলছে। সময়ের শ্রোতের গা ভাসিয়ে গিয়ে কম দামি ঢেউটিনের ব্যাপক ব্যবহারের মুখ চাহিদা কমে যাওয়ায় পাহাড়ে আর আগের মতো ছন চাষ করছে না চাষিরা। ফলে দ্রুত ছনের চালার স্থান দখলে নিয়েছে কমদামি টিনের চালা। এমন চিত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাত্ইে দেখা যাচ্ছে । তবে কি পাহাড়ে সচ্ছলতা বিরাজ করতে শুরু করেছে ? না!। সচ্ছল অসচ্ছলতার প্রশ্নের চেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে টিনের টেকসয়ের বিষয়টি এমন মন্তব্যই করেছেন ছন বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরে ছনের চাষ ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন রাঙ্গামাটির উপজেলার বিলাইছড়ির উজ্জল মারমা (৩৫) কথা হয় তার সাথে । তিনি জানান বাংলা বর্ষের আশ্বিন থেকে চৈত্রমাস পর্যন্ত ছন আহরণ করা হয়ে থাকে। চাষাদের তেমন পরিশ্রম নেই। শুধুমাত্র পাহাড়ের যে অংশে ছন চাষ করা হবে তা পরিষ্কার করে দিলেই কিছুদিন পর প্রাকৃতিকভাবেই ছনের কুঁড়ি জন্ম নেয়। দেড় দুই হাত দৈর্ঘ্য হলে আগাছা পরিষ্কার করে একবার ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। আর ৬-৭ ফুট লম্বা হলেই কাটান উপযুক্ত হয়। আহরণের পর র্পযাপ্ত রোদে ১৫ থেকে ২৫ দিন শুকিয়ে নিতে হয়। এর পরই তা ব্যবহার উপযোগী হয়। অন্যদিকে বাগানের বড় কোনো গাছ থাকলে তার ছায়া ও পাতা পড়ে ছনের বৃদ্ধিতে যেমনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তেমনি ছনের পাতা পচন ধরে নষ্ট হয়। ফলে উৎপাদন হ্রাস পায়।
বর্ষা মৌসুমের আশ্বিন মাসে ছন আহরণ করা হলেও বাজারে এর চাহিদা তেমন থাকে না। ফলে ভারপ্রতি (দুই বোঝা) মাত্র ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। তবে ধীরে ধীরে এর চাহিদা যেমনি কমছে, মানুষ ঝুকছে ঢেউটিনের দিকে।
বাসস/সংবাদদাতা/১১২০/নূসী