বাসস ক্রীড়া-১৩ : প্রথম দিন পাকিস্তানের বোলারদের দাপট

278

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-আবুধাবি টেস্ট
প্রথম দিন পাকিস্তানের বোলারদের দাপট
আবুধাবি, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ (বাসস) : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। প্রথম দিন নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। সাত ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ৯০ ওভারে ২২৯ রান করেছে নিউজিল্যান্ড।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ওপেনার টম লাথামকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এরপর দলের পালে রানের হাওয়া যুগিয়েছেন আরেক ওপেনার জিত রাভাল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট হাতে দলের স্কোর বড়ই করছিলেন তারা। কিন্তু দলীয় ৭০ রানে রাভালকে বিদায় দেন পাকিস্তানের লেগ-স্পিনার ইয়াসির শাহ। ৮২ বলে ৪৫ রান করেন রাভাল।
রাভালের বিদায়টা নিউজিল্যান্ডের জন্য বিপদই বয়ে আনে। কারণ এরপর ২ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারায় তারা। মিডল-অর্ডারে নিউজিল্যান্ডের মেরুদন্ড রস টেইলর ও হেনরি নিকোলসকে বিদায় দেন ইয়াসির। টেইলর শূন্য ও নিকোলস ১ রানে ফিরেন।
৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে বিপদমুক্ত করেন উইলিয়ামসন ও উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং। দু’জনে জুটিতে সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন। তবে উইলিয়ামস ও ওয়াটলিং-এর জুটিটি ১০৪ রানের এগোতে দেননি পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী। সেঞ্চুরির পথে হাটতে থাকা উইলিয়ামসনকে ৮৯ রানে শিকার করেন হাসান। ১৭৬ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার মারেন হাসান।
দলীয় ১৭৬ রানে অধিনায়কের বিদায়ের পর দিনের শেষ ভাগে আরও দুই উইকেট হারিয়ে আবারো চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ২০ ও টিম সাউদি ২ রান করে থাকেন। দু’জনকেই শিকার করেন বিলাল আসিফ।
তবে দিনের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে যান ওয়াটলিং ও ৩৪ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হওয়া উইলিয়াম সমারভিল। ওয়াটলিং ৪২ ও সমারভিল ১২ রানে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তানের ইয়াসির ৩টি ও আসিফ ২টি উইকেট নিয়েছেন।
বিশ্বের দশম সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে এ ম্যাচে টেস্ট অভিষেক হয়েছে নিউজিল্যান্ডের সমারভিলের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ২২৯/৭, ৯০ ওভার (উইলিয়ামসন ৮৯, রাভাল ৪৫, ইয়াসির ৩/৬২)।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯৫০/মোজা/স্বব