বাসস দেশ-১০ : সাবিরার দন্ড সংক্রান্ত হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত, আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি কাল

159

বাসস দেশ-১০
চেম্বার কোর্ট-আদেশ
সাবিরার দন্ড সংক্রান্ত হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত, আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি কাল
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০১৮ (বাসস) : যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার দন্ড স্থগিতে হাইকোর্ট আদেশ সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার কোর্ট কাল রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ শনিবার হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি কাল রোববার শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বাসস’কে আজ এ কথা জানান। তিনি বলেন, কাল রোববার প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। আজ চেম্বার কোর্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনালে মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও এডভোকেট এবিএম বায়েজিদ।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “আজকের আদেশের ফলে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ আর থাকল না, যদি না আগামীকাল আপিল বিভাগ ভিন্নতর কোনো আদেশ দেয়। আপিল বিভাগ আদেশ না দেয়া পর্যন্ত চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল থাকবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, শুধু সাবিরা সুলতানাই নয়, এটা সংবিধানের বিধান। দুই বছরের বেশি দন্ডিত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় চলতি বছর ১২ জুলাই সাবিরা সুলতানাকে দুটি ধারায় তিন বছর করে মোট ৬ বছরের সাজা দেয় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত।
যশোর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবিরা ওই সাজা ও দন্ড স্থগিতের আবেদন করলে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার ২৯ নভেম্বর তা মঞ্জুর করে। ফলে তার নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নেই বলে সে সময় তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন। আজ হাইকোর্ট আদেশ স্থগিত হওয়ায় সেই সূযোগ আর থাকছে না বলে জানায় দুদক ও রাষ্টপক্ষ।
এর আগে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বলেছিল, দুই বছরের বেশি দন্ড ও সাজা হলে আপিল করেও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ আদেশ আপিল বিভাগও বহাল রাখে। দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত বিএনপির পাঁচ নেতার দন্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেয়। ফলে আবেদনকারী পাঁচ বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মসিউর রহমান ও মো. আবদুল ওহাবের নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মত দিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৪৫৬/এমএবি