বাজিস-১ : চাঁদপুরে ২ হাজার ৮১৪ কেজি বোরো ধান বীজ বরাদ্দ

149

বাজিস-১
চাঁদপুর-ধানবীজ-বরাদ্দ
চাঁদপুরে ২ হাজার ৮১৪ কেজি বোরো ধান বীজ বরাদ্দ
চাঁদপুর, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : জেলার ৮ উপজেলায় চলতি (২০১৮-১৯) রবি মৌসমে ২ হাজার ৮১৪ বোরো ধান বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ উন্নত জাতের বীজ বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ খামার বাড়ি।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ খামার বাড়ি সূত্রে জানা যায়, উন্নত ধান বীজ গুলো হলো বিআর ১৪, বিআর ১৬, বিআর ২৬, ব্রিধান ২৮, ব্রিধান ২৯, ব্রিধান ৫০, ব্রিধান ৫৫, ব্রিধান ৫৮, ব্রিধান ৬৩।
বিক্রির জন্য চাঁদপুর সদরে ৩৮৮ কেজি বীজ, হাইমচরে ২৯৯ কেজি বীজ, ফরিদগঞ্জ ৭৭৯ কেজি বীজ, শাহারাস্তিতে ৩৯০ কেজি বীজ, কচুয়াতে ২২১কেজি বীজ, মতলব উত্তরে ২৫০ কেজি বীজ, মতলব দক্ষিণে ২০০ কেজি বীজ, এবং হাজীগঞ্জে ২৮৩ কেজি বীজ।
এ সব ধানের বীজের মধ্যে বিআর ১৪ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, বিআর ১৬ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, বিআর ২৬ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান ২৮ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান ২৯ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান ৫০ হলো ৫৩ টাকা কেজি দরে , ব্রিধান ৫৫ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে , ব্রিধান ৫৮ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান ৬৩ হলো ৪৩ কেজি দরে সরকারিভাবে বিক্রির এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্ব স্ব উপজেলার হাট-বাজারের ডিলারগণ এ বীজ কৃষকের নিকট বিক্রি করবে বলে চাঁদপুর বীজ বিতরণ কেন্দ্র জানান।
চাঁদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আলি আহমেদ জানান, চাঁদপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। ধান, গম, আলু, সরিষা পাট, সয়াবিন, আখ, অভিন্ন শাকসবাজ চাঁদপুর জেলার প্রধান ফসল। কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১০, ১৬, ১৭, ১৯ এর আওতাভুক্ত।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে দুটি প্রকল্প এলাকায় ৪ টি উপজেলা রয়েছে এগুলো হলো- চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, হাইমচর, এখানে ২৩ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমি রয়েছে। জেলার মানুষের মৌলিক খাদ্যের প্রয়োজন ৪ লাখ ১২ হাজার ৯৯৪ মে. টন। বিগত দিনে খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি ছিলো প্রকট। বর্তমান সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির কারণে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি চালুকরণ ও আধুনিকতার আবাদের মাধ্যমে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩২ মে. টন। খাদ্য উৎপাদনে সরকার বিদ্যুৎ ও সার ভর্তুকি এবং ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে কৃষিঋণ বিতরণ করছে। সরকার কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদনের ব্যাবস্থা করেছে আর তা সাধারন কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, চাঁদপুর জেলার কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কৃষি বিষয়ক পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন জেলার খাদ্য ঘাটতি পূরণ, দারিদ্রমোচন ও পুষ্টির অভাব দূরীকরণসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বাসস/সংবাদদাতা/আহো/১০০৫/নূসী