বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ (লিড) (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : ড. কামাল ও সুশীল সমাজের কিছু সদস্য সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্বের অধীনে চলে গেছেন : প্রধানমন্ত্রী

361

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ (লিড) (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
ড. কামাল ও সুশীল সমাজের কিছু সদস্য সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্বের অধীনে চলে গেছেন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে অনেকে আছেন যারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন এবং নীতি-নৈতিকতার বুলি আওড়ান। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই দেখেছি যখন ব্যক্তিগত স্বার্থের কোন ব্যাপার আসে তখনই আর নীতি-নৈতিকতার কোন বালাই থাকে না।
বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তাঁর উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যেই তাঁকে হারিয়ে ফেলা সমগ্র দেশের জন্যই ছিল এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বেঁচে থাকলে স্বাধীন হওয়ার ১০ বছরের মধ্যেই দেশকে তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারতেন।’
জাতির পিতার আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই আদর্শ এবং চেতনা বাস্তবায়নেই আমার সকল প্রচষ্টা। এর জন্য আমি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করার এবং দেশের দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার স্বপ্ন, চেতনা এবং আদর্শ নিয়ে আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু আমার একটাই চিন্তা স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা এবং স্বাধীনতার সুফলকে প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া, আমি এটা অবশ্যই করবো।
বিগত ১০ বছরে দেশের উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশের ওপর থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, এ হারকে তাঁর সরকার আরো ৪ থেকে ৫ ভাগ কমিয়ে এনে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করতে চায়।
দেশের বর্তমান জিডিপি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ থাকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রবৃদ্ধির হারকে দুই অংকে নিয়ে যাওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে তাঁর সরকার গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই এবং কারো সঙ্গেই কোন প্রকার যুদ্ধে জড়াতে চাই না। কিন্তু যে কোন ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে।’
সশস্ত্র বাহিনীকে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেটা মাথায় রেখেই আমরা এই বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং উন্নয়ন সাধন করে যাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি চমৎকার প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছিলেন এবং আমরা এখন তাঁর সেই নীতিতেই সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করছি।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আগত সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ এবং নির্বাচনে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি এবং দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে।’
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/০০২০/-এবিএইচ