বাসস দেশ-১৯ : বিশ্ব শিশু দিবসে নীল কনসার্ট ও বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত

343

বাসস দেশ-১৯
ইউনিসেফ-কর্মসূচি
বিশ্ব শিশু দিবসে নীল কনসার্ট ও বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে হাজার হাজার শিশুর অংশগ্রহণে ইউনিসেফ বাংলাদেশ বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
আজ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ অনুষ্ঠানে ৫০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে সম্মাননা দিয়েছে ইউনিসেফ।
মুদ্রিত, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন প্লাাটফর্মে সৃজনশীল গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠত্ব উদযাপণের জন্য মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালু করা হয়।
এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য গত বছর যেখানে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৭শ’ জন, তা এ বছর বেড়ে ৮৫০ জনে পৌঁছেছে এবং এদের মধ্য থেকে ১৪টি ক্যাটাগরিতে মনোনীত ৮৫ জনের মধ্য থেকে বিজয়ীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।
বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং জনপ্রিয় ব্যান্ডসঙ্গীতের দল ওয়ারফেইজের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে গানের সুরে সুরে শিশুরা মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ও ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ উদযাপন করেছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি শিশুদের জন্য একটি ‘নীল কনসার্ট’ (ব্লু কানসার্ট) এবং জাতীয় ক্রিকেট তারকা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করে।
এই দিবসের অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ে, রাস্তায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বোডরুমে ও খেলার মাঠে নীল রঙ নিয়ে কিছু একটা করে বা নীল রঙের পোশাক পরার মাধ্যমে ‘বিশ্বকে নীল রঙে রাঙাতে’ সাহায্য করার মধ্য দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
এদিকে ব্লু কনসার্টে অন্যান্যদের মধ্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূতরা, অভিনেতা, ডিজিটাল প্রভাবক ও সঙ্গীতজ্ঞরা যোগ দেয়, যার মধ্যে জন কবির, বিট বাক্স, মাহতিম সাকিব এবং চিত্রপট অন্যতম।
বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে যুব এডভোকেট রাবা খানের সাথেও কতিপয় জনসংযোগের কাজ করা হয়।
শুধু এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমেই সরাসরি ৬ হাজার শিশুর কাছে পৌঁছানো গেছে। পাশাপাশি প্রায় ২০ লাখ শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে অনলাইনে সম্পৃক্ত করা হয়। গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের মধ্যে একাত্মতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথাগত মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অংশগ্রহণকারী ও পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘আমি আশা করবো, শিশুদের সমস্যাগুলো তুলে ধরে এবং শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের গতিশীল গণমাধ্যমও শিশুদের জন্য এই বৈশ্বিক কর্মকান্ডে যোগ দেবে।’
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এডুয়ার্ড বেগবেদার, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত অভিনেত্রী আরিফা জামান মোসুমী ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, পুরস্কারের অর্থ ও সনদ তুলে দেন।
বাসস/সবি/এমএআর/১৮৪৫/এএএ