বাসস দেশ-৭ : রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে শিশু নিহত ও মহিলাসহ ৬ জন অগ্নিদগ্ধ

150

বাসস দেশ-৭
গ্যাস-বিস্ফোরণ-হতাহত
রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে শিশু নিহত ও মহিলাসহ ৬ জন অগ্নিদগ্ধ
ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর এলাকায় রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে বাসায় গ্যাসের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু নিহত এবং মহিলাসহ একই পরিবারের অপর ৪ জনসহ ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার ১৪ নং আউটফল আবাসিক এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তাহসিন (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়। আহতরা হলো, সুমন (৪০), তার স্ত্রী সাজুলি (৩৫), তাদের ছেলে নিশান (১৪) ও সুমনের ফুপু আতর বেগম (৭০), ভাড়াটিয়া আলমগীর (৩০) ও তার স্ত্রী কাজুলি (২৪)।
অগ্নিদগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আয়ান মাহমুদ দীপ জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার ১৪ নং আউটফল আবাসিক এলাকায় ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া আলমগীর এর বাসায় গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে দেয়াল উড়ে যায়। ওই সময় ভবনের ওপর তলার ভাড়াটিয়া সাইদুল ইসলামের মেয়ে তাহসিন চাপা পড়ে মারা যায়। বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ সদস্য সহ মোট ৬জন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। অগ্নিদগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে
তিনি আরো জানান, গ্যাসের লাইন দীর্ঘদিন ধরে লিকেজ ছিল। সেখান থেকে ঘরে গ্যাস পুঞ্জিভূত হয়ে জমাট বেঁধে থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে কেউ আগুন জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দে এটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারা সিটি কর্পোরেশনে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পাশের বাসার শিশু তাহসান সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় দেয়াল ধসে তার গায়ের ওপর পড়লে তার মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রাশেদ শিকদার জানান, বিস্ফোরণের খবরে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে, ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে আগুন নিয়ন্ত্রণ চলে আসে।
ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে সুমন ৩৮ শতাংশ, সাজলি ১৭ শতাংশ, নিশান, ৫০ শতাংশ ও আতর বেগমের শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আলমগীর ও তার স্ত্রী কাজুলি সামান্য দগ্ধ হয়েছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএআর/১৬৪৫/কেকে