কর মেলার দ্বিতীয় দিনে ৫৫১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

495

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করদাতারা আয়কর মেলায় দ্বিতীয় দিনে কর প্রদান ও সেবা গ্রহণ করেছেন। মেলা প্রাঙ্গণে ছিল করদাতা ও সেবা গ্রহীতাদের উপচে-পড়া ভীড় এবং উৎসবমুখর পরিবেশ। দ্বিতীয় দিনে আয়কর সংগ্রহ হয়েছে ৫৫১ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৩৯৮ টাকা। যা গতবছরের একইসময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। আর দুই দিন মিলে কর রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় দিনে দেশের ৮টি বিভাগ, ৩৫টি জেলা এবং ১৯টি উপজেলাসহ মোট ৬২টি স্পটে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মেলা চলে।
এবার মেলার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। করদাতার মেলায় ই-ফাইলিং এবং ই-পেমেন্ট সুবিধা পেয়ে বেশ খুশি। এর পাশাপাশি তারা মেলায় রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইন গ্রহণসহ (নতুন ও পুরাতন) সব ধরনের করসেবা পাচ্ছেন। মেলায় আসা মুক্তিযোদ্ধা, নারী, মপ্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য রয়েছে আলাদা বুথ।
রাজধানীর মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য করদাতাদের জন্য রাজধানীর টিএসসি, রামপুরা, বেইলি রোড, মতিঝিল, মিরপুর ও উত্তরা থেকে ১৫টি শাটল বাস নিয়োজিত রয়েছে।
রাজধানীতে মেলার দ্বিতীয় দিন বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান কর শিক্ষণ ফোরাম। কর শিক্ষণ ফোরামের আওতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মেলা পরিদর্শন ও কর বিষয়ে ধারণা লাভ করছেন।কর বিষয়ে ধারণা লাভের পর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী ১০জন ছাত্রীকে সনদপত্র ও বই প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
এসময় তিনি বলেন, মেলায় করদাতাদের উপস্থিতি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আগ্রহ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। উৎসবের আমেজে মানুষ দলে দলে আয়কর মেলায় রিটার্ন জমা দিচ্ছে। কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে রিটার্ন জমা দিয়ে রশিদ নিচ্ছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আয়কর দিতে গিয়ে কেউ যেন কোনো প্রকার ভীতির সম্মুখীন না হন, সে বিষয়ে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। তবেই আশানুরূপ করদাতার সংখ্যা বাড়বে।
দ্বিতীয় দিনে মেলায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৫ জন সেবা গ্রহণ করেছেন। আর রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৬৫ হাজার ৫টি। ই-টিআইএন নিয়েছেন ৫ হাজার ৯২২ জন।