বাসস ক্রীড়া-১৬ : ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে : মিরাজ

339

বাসস ক্রীড়া-১৬
ক্রিকেট-টেস্ট
ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে : মিরাজ
ঢাকা, ১৪ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা টেস্ট জিততে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে ৮ উইকেট শিকার করতে হবে বাংলাদেশকে। পক্ষান্তরে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৩৬৭ রান। বাংলাদেশের ৪৪৩ রানের টার্গেটে চতুর্থ দিন শেষে ২ উইকেটে ৭৬ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। এই অবস্থায় ম্যাচ বাংলাদেশের দিকেই ঝুকে আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে। আমরা সাড়ে চারশ’র মত টার্গেট দিয়েছি। তাদের দুই উইকেট শিকার করেছি। কাল একটা দিন আছে, তিনটা সেশন আছে। আমাদের বোলাররা যদি ভাল লেন্থে বল করতে পারে, তাহলে ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে।’
জিম্বাবুয়েকে টার্গেট দিয়ে চার সেশন খেলার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করা সম্ভব বলে মনে করেন মিরাজ, ‘আমি বলবো চারটা সেশন অনেক। আমরা যে সময় ছেড়ে দিয়েছি ওটাতে প্রায় ১২০-১২৫ ওভার কাভার করেছে। চতুর্থ ইনিংসে ১২০ ওভার মানে কিন্ত অনেক ওভার। এটাই যে আমাদেরও তো একটা ব্যালেন্স করে ছাড়তে হবে। এটাই যে টিম ম্যানেজমেন্ট খুব ব্যালেন্স করে ছেড়েছে।’
সিলেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম। এমনকি ঢাকা টেস্টেও একই অবস্থা। মিরাজের চাইতে তাইজুলের শিকার বেশি। তবে উইকেট সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মিরাজ, ‘সবসময় এক-দুইজন ভাল করে, ডমিনেট করে। প্রথম টেস্ট থেকেই তাইজুল ভাই দারুণ বোলিং করছে। সে ভাল বোলিং করছে বলেই উইকেটগুলো ডিজারভ করে। কারণ ভাল জায়গায় বল করছে, উইকেট পাচ্ছে। আমি তাঁর পাশাপাশি সাপোর্ট করছি। এখন দুইজনই যদি ভাল বোলিং করি তাহলে তো প্রতিপক্ষ অল্প রানে আউট হয়ে যাবে। দিন শেষে খেলাটা ক্রিকেট, একজন ভাল করবে একজন সাপোর্ট দেবে। তবে কাল আমার ও তাইজুল ভাইয়ের একটা ভাল সুযোগ আছে। ক্রিকেটারদের প্রতিটা উইকেটিই সুযোগের মত।’
আট বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিন অংকে পা দিয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করে সিজদাহ দেন তিনি। অধিনায়কের সিজদাহ দেখে মিরাজ নিজেও সিজদাহ দেন। তবে এটি কেন ছিলো, মিরাজের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরেই রান করতে পারছিল না। এই ম্যাচটায় কিন্তু আমাদের অনেক প্রাপ্তি আছে। মুশফিক ভাই ডাবল করল, মুমিনুল ভাই দেড়শ’ করল। রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি, মিথুন ভাই পঞ্চাশ করল, আমিও করলাম একটা পঞ্চাশ। মানে আমার খুব ভালো লাগছে যে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছে। ব্যাটসম্যানরা ডমিনেট করেছে। এটা কিন্তু দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা যদি ডমিনেট করে তাহলে দল কিন্তু ভালো খেলে। এই খুশিতেই আসলে সিজদাহ দেওয়া। আসলে খুব ভালো লাগছে। সবার অনুভূতি কাজ করেছিল। নিজের অনুভূতি ধরে রাখতে পারিনি। তাই রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে সিজদাহ দিয়েছি।’
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৯১৫/মোজা/স্বব