বাসস দেশ-২০ : কোন অনুকম্পা নয় রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান : স্পিকার

313

বাসস দেশ-২০
স্পিকার- সংবিধান
কোন অনুকম্পা নয় রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান : স্পিকার
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর ২০১৮(বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, কোন অনুকম্পা কিংবা সমঝোতা নয়, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান।
স্পিকার আজ মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনমেন্টস্থ ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘পার্লামেন্ট : রোল, ফাংশন এ্যান্ড পার্লামেন্টারী প্র্যাকটিসেস ইন দ্যা কনটেক্সট অব পার্লামেন্টারী ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বে অনন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২সালে জাতিকে এই সংবিধান উপহার দেন। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালী জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ ও গৌরবময় সংবিধান পেয়েছে।’
এ সময় স্পিকার সংবিধানের আলোকে সংসদীয় গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, শোষণ-বৈষম্যহীন আইনের শাসন, সংসদীয় চর্চা ও রীতিনীতির উপর বিশদ ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, দেশের সর্বময় ক্ষমতার মালিক জনগণ, আর সংসদ হচ্ছে সেই ক্ষমতার প্রতীক। সংসদের সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সংবিধান, কার্যপ্রণালী বিধি ও সংসদীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে। সংসদের মূল কাজ আইন প্রণয়ন। সংসদ সদস্যগণ সংবিধানের সাথে কোন সাংঘর্ষিক আইন প্রণয়ন করে না।
তিনি আরো বলেন, আইন প্রণয়ন ছাড়াও সরকারের জবাদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে সংসদীয় কমিটিগুলো কাজ করে থাকে। সরকার ও বিরোধীদলের যৌথ অবদান সংসদকে কার্যকর করতে সহায়তা করে। সেক্ষেত্রে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় দশম জাতীয় সংসদ ছিল অনন্য।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ- নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ। প্রত্যেকটি বিভাগ সংবিধানের আওতায় নিজ সীমারেখায় সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রতিটি বিভাগের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র সচল থাকে। এই তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং সুসম্পর্ক বজায় থাকলে রাষ্ট্র স্বাভাবিক গতিতে চলে।’
বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্পিকার অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ডিএসসিএসসি কোর্সে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ১৭০ জনসহ বিশ্বের ১৯টি দেশের ৪৫জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
এ সময় ডিএসসিএসসি’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট কমোডর এম. রাশেদ আলী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম মাহবুব উল আলমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৮৪০/-এমকে