বাজিস-৭ : বগুড়াসহ উত্তরের ৪ জেলায় কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চলছে

112

বাজিস-৭
বগুড়া- কৃষি-প্রণাদনা
বগুড়াসহ উত্তরের ৪ জেলায় কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চলছে
বগুড়া ১৩ নভেম্বর ২০১৮ (বাসস) : বগুড়াসহ উত্তরের চার জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে ৯টি ফসলের জন্য ৮ কোটি ৬২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৭ টাকার রবি ফসলের কৃষি প্রনোদনা বিতরণ চলছে। এ পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ প্রনোদনা বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলো হচ্ছে জয়পুরহাট,পাবনা ও সিরাজগঞ্জ। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ চলতি অর্থ বছর ফসল ভিত্তিক কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছর কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় এসব জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের বোরো ফসল উৎপাদনের কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এ কর্মসুচিতে চার জেলার মোট ৭৩ হাজার ৪ শ’ ৮৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা মূল্যের রবি ফসলের বীজ এবং সার বিতরণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে বগুড়া জেলার ২২ হাজার ৭৭৫ কৃষকের মাঝে ২ কোটি ৬৫ লাখ ১ হাজার ৩শ’ টাকার,জয়পুরহাট জেলায় ৯ হাজার ৮২০ কৃষকের মাঝে ১ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার,পাবনা জেলায় ২০ হাজার কৃষকের মাঝে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকার এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় ২০ হাজার ৮৪৫ কৃষকের মাঝে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭৮ টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রনোদনায় একজন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীকে এক বিঘা জমিতে রবি ফসল উৎপাদনের প্রয়োজনীয় বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে। প্রণোদনায় বোরো ধান বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ২০ কেজি,এমওপি সার ১০ কেজি , গম চাষে বীজ ২০ কেজির সাথে ডিএপি সার ২০ কেজি,এমওপি সার ১০ কেজি, ভূট্রা চাষে বীজ ২ কেজির সাথে ডিএপি সার ২০ কেজি,এমওপি সার ১০ কেজি,সরিষা চাষে ১ কেজি বীজের সাথে ডিএপি সার ২০ কেজি,এমওপি সার ১০ কেজি,চিনাবাদাম বীজ ১০ কেজির সাথে ১০ কেজি ্ডিএপি সার,৫ কেজি এমওপি সার ,খেসারী বীজ ৮ কেজির সাথে ডিএপি সার ১০ কেজি,এমওপি সার ৫ কেজি, বিটি বেগুন বীজ দশমিক শূণ্য দুই কেজির সাথে ডিএপি সার ২০ কেজি,এমওপি সার ১০ কেজি,তিল বীজ ১ কেজির সাথে ডিএপি সার ২০ কেজি,এমওপি সার ১০ কেজি,মুগ ডাল বীজ ৫ কেজির সাথে ডিএপি সার ১০ কেজি,এমওপি সার ৫ কেজি করে প্রদান করা হচ্ছে। বীজ ও সার মিলে একজন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক একবিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের সাড়ে ৯শ’ টাকার প্রনোদনা,গম চাষের জন্য ১ হাজার ৮শ’ টাকার প্রনোদনা, ভূট্রা চাষের জন্য ১২শ’ টাকার প্রণোদনা,খেসারী ডাল চাষের জন্য ৯শ’ টাকার ,তিল চাষের জন্য ৭শ’ টাকার,মুগ ডাল চাষের জন্য ৯শ’ টাকার,সরিষা চাষের জন্য ৭শ’ টাকার,বিটি বেগুন চাষের জন্য সাড়ে ৭শ’ টাকার এবং চিনাবাদাম চাষের জন্য দেড় হাজার টাকা মূল্যের কৃষি প্রনোদনা পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা সাধারণত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে । তাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করতেই সরকার এসব ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের জন্য প্রণোদনা প্রদান করেন। তাছাড়া দেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন এবং ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তেই ফসলের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বাসস/ সংবাদাতা/১৭১৫/মরপা