খুলনার গণরায়কে অপমান করায় জাতীয় নির্বাচনেও বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ : কাদের

679

ঢাকা, ১৬ মে, ২০১৮ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খুলনার জনগণের রায়কে অপমান করায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণও বিএনপিকে প্রত্যাখান করবে।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রমান হয়েছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত খুলনাতেও আওয়ামী লীগের ভোট বেড়েছে। তরুণ ও নারী ভোটারদের সমর্থন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ভোটের বিরাট ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।’ যে কোন মূল্যে জিততে হবে এ ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপির জনপ্রিয়তা যেভাবে হ্রাস পেয়েছে তাতে তাদের (বিএনপি) জন্য আগামীতে আরো বড় পরাজয় অপেক্ষা করছে। বিএনপি মিথ্যাচারের মাধ্যমে এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সকল অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের এ ধরনের হীন প্রয়াস সত্ত্বেও একটি ভালো নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির নেতারাও বুঝতে পেরেছে দেশের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। জনগনের এ সচেতনতার জন্যই তারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারেন নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করায় খুলনার জনগণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ মামার বাড়ির আবদার নয়। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি যে সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন সে কমিটিতে বিএনপিরও প্রতিনিধি ছিল। সেই সার্চ কমিটির সুপারিশে গঠিত নির্বাচন কমিশনে বিএনপিরও একজন নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।
আপীল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখার বিষয়ে কাদের বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই আপীল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রয়েছে। কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেতে হলে জামিনের আদেশ কারাগারে যেতে হবে, তার বিরুদ্ধে আরো যে সকল মামলা রয়েছে তা থেকেও জামিন পেতে হবে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। তিনি (খালেদা) আইনী প্রক্রিয়ায় জেলে গেছেন, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমনি এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, উপ- দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।